ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্মরণকালের ভয়াবহ যানজট স্বাভাবিক হয়েছে। প্রায় তিন দিন পর শনিবার ভোররাত থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা কম। টানা তিনদিন ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটে আটকে পড়া যাত্রী ও চালকরা অভুক্ত ছিলেন।
গতকাল রোববার সকালে দেখা গেছে, মহাসড়কে বিগত তিন দিনের চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে। দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী গাড়িগুলোর চাকা আস্তে আস্তে ঘুরতে শুরু করেছে। যানজট নেই সড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের মীরসরাই সদর থেকে ফেনীর মহিপাল পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায়। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, লেগুনা চলাচল করতে দেখা গেছে। চোখে পড়েছে অসংখ্য ত্রাণবাহী গাড়িও। তবে যাত্রীবাহী দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের বাস গুলো তখনো শুরু করেনি চলাচল। বন্যার কারণে দোকান পাট বন্ধ থাকায় পানিও কিনতে পারেননি আটকা পড়া কেউ। লেগুনাচালক আমিনুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হইনি। আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না। আজ সকালে রাস্তায় বের হয়েছি। তবে যাত্রী তেমন নেই। বারইয়াহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাজী ফারুক বলেন, গত তিনদিন গাড়ি ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিল। গতকাল শেষ রাত থেকে চলাচল শুরু হয়েছে। গাড়ি চালকেরা অনেক কষ্ট করেছেন। হাইওয়ে পুলিশের ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ চৌধুরী জানান, শনিবার ভোর রাত থেকে যানজট নিরসন শুরু হয়েছে। ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চলাচল করছে। তবে চট্টগ্রামমুখী লেনে মুহুরীগঞ্জ ও লেমুয়ায় এখনো পানি রয়েছে, তাই এই লেনে চলাচল বন্ধ রয়েছে। একমুখী লেন দিয়ে কমতে শুরু করেছে আটকে থাকা গাড়িগুলো। আশা করা যাচ্ছে রোববার রাতের মধ্যে পুরো সড়ক সচল হয়ে যাবে। মহাসড়কে দুর্যোগের এই সময় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের মহাসড়কে আটকে থাকা মানুষের মাঝে পানি ও খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে। অনেকে রাত জেগে যাত্রী ও চালকদের নিরাপত্তাও দিয়েছেন বলে জানান চালক ও যাত্রীরা। একদিকে বন্যা অপরদিকে মহাসড়কের অচলাবস্থা; অবশেষে মহাসড়ক সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যেন জনমনে।