তিন ইউনিটের সম্মেলন শেষে ওয়ার্ড সম্মেলন

নগর আ. লীগের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় উৎসবের আমেজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ অক্টোবর, ২০২১ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ইউনিট সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনটি ইউনিটের সম্মেলন শেষ হলে ওয়ার্ড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ১০ দিন পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে শান্তি ও সম্প্রীতি কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। ৫ নভেম্বর আন্দরকিল্লা চত্বরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বর্ধিত সভায় ছিল সম্মেলনের আমেজ। হলে প্রবেশের সময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাথায় ক্যাপ ও বুকে ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। হল জুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। এদিকে নগর আওয়ামী লীগ থেকে সরবরাহকৃত তথ্য সংগ্রহ ফরম পূরণ করে মহানগর কার্যালয়ে আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল সকালে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টারে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সভার সিদ্ধান্তসমূহ ঘোষণা করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। দুপুরে বর্ধিত সভার বিরতিতে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্প্রীতি ও শান্তি র‌্যালি বের হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও ভরসার প্রতীক। এই অহংকার কোনোদিন চূর্ণ হবে না। যেকোনো মূল্যে অহংকারকে ধরে রাখতে হবে। কারণ অশুভ শক্তি অশনি সংকেত ছড়াচ্ছে। চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলছে। যারা অপকর্মের সাথে যুক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, লিয়াকত আলী হত্যাসহ কোনো হত্যার সাথে যুক্ত কারও আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না। যারা জায়গা দেবেন তাদেরও দল থেকে সরে যেতে হবে। তিনি জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা অনুসরণ করেই তৃণমূল স্তরের কমিটিগুলো গঠিত হবে। পদবির জন্য প্রতিযোগিতা ও পারস্পরিক চরিত্র হনন না করারও নির্দেশনা দেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মো. ইসহাক, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ সমশের, শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জোবায়েরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, জালাল উদ্দিন ইকবাল, আবদুল আহাদ, মোহাম্মদ আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, এম এ জাফর, মো. আবুল মনছুর, পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ কামরুল হাসান বুলু, গাজী শফিউল আজিম, বখতেয়ার উদ্দিন খান, কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহাব্বত আলী খান, সৈয়দ আমিনুল হক, বিজয় কিষাণ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, আবদুল লতিফ টিপু, মো. ইলিয়াছ, ড. নেছার উদ্দিন মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদার অফিসে এলো পাকিস্তান হাই-কমিশনের ১৫টি খাম
পরবর্তী নিবন্ধফজলে আম ও বাগদা চিংড়ি পাচ্ছে ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতি