‘সবাই বলছেন আমার ছেলে আছে। যেকোন সময় ফিরে আসবে। তাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। কোতোয়ালী থানা পুলিশ, পিবিআই, ডিবি পুলিশসহ যে যেখানে বলছে, সেখানেই যাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো নিখোঁজের প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি আমার একমাত্র ছেলে অনিকের। আমাদের একমাত্র অবলম্বনতো এই ছেলেটিই। এমন কেউ কি নেই, যে আমার বাপধনের সন্ধান দিতে পারে?’ গতকাল রোববার এভাবেই আজাদীর কাছে আর্তনাদ করতে করতে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন সরকারি কমার্স কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রান্ত ভট্টাচার্য অনিকের (১৮) হতভাগ্য পিতা। তিনি বলেন, যার কাছেই যাচ্ছি, সবাই বলছেন ধৈর্য্য ধরেন। এখন আমরা পিতা-মাতা আর কতো ধৈর্য্য ধরতে পারি, বলেন?
গত ২৬ জুন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি প্রান্ত ভট্টাচার্য অনিক। তার নিখোঁজের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ত্রিদীপ কুমার ভট্টাচার্য। প্রান্ত ভট্টাচার্য অনিকের বাড়ি বাঁশখালী হলেও পরিবারের সঙ্গে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
অনিকের বড় বোন প্রত্যাশা ভট্টাচার্য বলেন, ২৬ জুন সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে প্রান্তকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় জিডি করেছেন আমার বাবা। এছাড়া পিবিআই ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত করছে। সবাই চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।
প্রান্তর বাবা ত্রিদীপ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ঐদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পাথরঘাটার ইকবাল রোডের বাসা থেকে স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে আজ পর্যন্ত ফিরে আসেনি আমাদের ছেলে প্রান্ত। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সে তার সাথে কোনো টাকা কিংবা ফোন নেয়নি। তিনি বলেন, আমরা তার সব বন্ধুবান্ধবের পাশাপাশি আমাদের সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ তার কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। আমাদের জানা মতে তার কিংবা আমাদের পরিবারের কারো সাথে কারো কোনো শত্রুতা নেই।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নিখোঁজের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। তাকে খুঁজে পেতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। তার বন্ধু ও সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছি।