হাটহাজারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মো. সাকিব (২৫) টানা তিনদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
হাটহাটহাজারী পৌরসভা ০৯নং ওয়ার্ডস্থ মোহাম্মদপুর এলাকার পেটান খলিফার বাড়ির নানার বাড়িতে বেড়ে উঠা সাকিব রাউজান উপজেলার ইসলাম ড্রাইভার এবং জাহানারা বেগমের পুত্র।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কের পৌরসভার অংশের ডায়মন্ড টাচ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সড়কের পাশের রেলিংয়ের সাথে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় সাকিব। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশী জামিল জানায়, সাকিব একসময় পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন। পরে সে ওই পেশা বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের (ইউনুচ গণি গ্রুপ) রাজনীতিতে জড়িয়ে যায়।
নিহতের মামা রাশেদ রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে দৈনিক আজাদীকে সাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ এখনো হাসপাতালে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ বাড়িতে আনার পর জানাযা নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থান তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, একইদিন উপজেলার ইছাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পম্চিম মেখল ফকিরহাট এলাকার তালুকদার বাড়ির ইসমাইলের পুত্র মনসুর এবং দেওয়াননগর এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মুছার পুত আরাফাত গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে মনসুর এখনও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।