ঘটনার তিনদিন পরও খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে তাদের উদ্ধারে অভিযান জোরদার করেছে যৌথ বাহিনী। গত শুক্রবার ভোর থেকে জেলা সদরের মধুপুর, পানখাইয়া পাড়া, চাবাই সড়ক নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, সেনাবাহিনী, পুলিশ গত বুধবার থেকেই অভিযান চলমান রেখেছে। অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বিভিন্ন সড়কে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত বুধবার বৈসাবি উৎসব শেষে বাড়ি ফেরার পথে পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকায় অস্ত্রের মুখে অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী। তারা হলেন– চবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণী বিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তাদের বহনকারী অটোরিকশা চালককে প্রথমে অপহরণ করা হলেও পরে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা। তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। এদিকে অপহৃতদের সুস্থ শরীরে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে ‘খাগড়াছড়ি আদিবাসী ছাত্র সমাজ’।