ফ্রান্সের ১০টি দ্রুতগামী ট্রেনের মধ্যে তিনটি ট্রেনের লাইন ‘সমন্বিত’ আগুন হামলার শিকার হওয়ায় সেসব ট্রেনের সূচি বাতিল হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেছেন, অলিম্পিক গেমস শুরুর আগে হওয়া নাশকতার কারণে রেল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘নাশকতাকারীদের‘ সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার সকালের মধ্যে পরিষেবাগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। ফ্রান্সের জাতীয় রেল কোম্পানি এসএনসিএফের হিসাব অনুযায়ী, রেল নেটওয়ার্ককে অচল করে দিতে বৃহস্পতিবার রাতভর দফায় দফায় ব্যাপক হামলার পর বেশকিছু লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় শুক্রবার প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। দেশটির পরিবহন উপমন্ত্রীর ধারণা, সোমবার সকাল পর্যন্ত তিন দিনে প্রায় আট লাখ যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হবেন। ভ্রমণকারীদের তাদের ট্রেন ভ্রমণ স্থগিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার ইউরোস্টার রেলের (লন্ডন টু প্যারিস) যে যাত্রীরা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারও ছিলেন। স্টারমার ইউরোস্টার ট্রেনে করে লন্ডন থেকে প্যারিসে গিয়ে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে আকাশপথে যেতে বাধ্য হন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার রাতে রেলব্যবস্থায় বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় রাজধানী ঘিরে তিন অঞ্চলের রেল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা রেল কর্তৃপক্ষের। এসএনসিএফ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। ক্ষতি মেরামতের জন্য তাদের কর্মীরা বৃষ্টির মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে সারারাত কাজ করেছেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নাশকতাকারীরা রেল লাইনের জংশনগুলোর কেবল বঙগুলোতে ফাইবার অপটিক কেবলগুলি কেটে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব কেবল রেল নেটওয়ার্ক নিরাপদে পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নাশকতাটি ‘পূর্ব–পরিকল্পিত’ আর ‘একক একটি গোষ্ঠী’ এটি বাস্তবায়ন করেছে।