যৌনতা ও সহিংসতায় পূর্ণ অদ্ভুতুড়ে ছায়াছবি ‘তিতান’ জিতেছে ২০২১ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবের শীর্ষ পুরষ্কার। জুলিয়ার দ্বিতীয় ফিচার চলচ্চিত্র এটি। এতে একজন নারী খুনির গল্প বলা হয়েছে। শৈশবে একটি সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর গাড়ির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় এই নারী।
২৮ বছর পর কোনো নারী নির্মাতার চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবের সবচেয়ে বড় পুরস্কার স্বর্ণ পাম (পাম দ’র) জিতল ফরাসি নির্মাতা জুলিয়া দুকোরনোর এই চলচ্চিত্র। গত শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টা) পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিভিন্ন ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করেন উৎসবের বিচারকের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা স্পাইক লি। খবর বিবিসি বাংলা ও বিডিনিউজের। আয়োজনের শেষ ভাগে স্বর্ণ পাম বিজয়ী চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণার কথা থাকলেও শুরুতেই ‘তিতান’ এর নাম ঘোষণা করে নাটকীয়তার জন্ম দেন লি। পরক্ষণেই নিজের বক্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি। অনুষ্ঠানজুড়ে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পালা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তিতান’ এর নামই ঘোষণা করা হয়। ৩৭ বছর বয়সী জুলিয়ার হাতে স্বর্ণ পাম তুলে দেন শ্যারন স্টোন। তিতান নিয়ে সমালোচকদের মিশ্র অভিমত আছে। এটাকে বর্ণনা করা হয়েছে উৎসবে এযাবৎকালে প্রদর্শিত সবচেয়ে ধাক্কা লাগার মতো ছবিগুলোর একটি হিসেবে। মহামারি শুরু হওয়ার পর কানে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হলো।
এর আগে নারী নির্মাতা হিসেবে ১৯৯৩ সালে প্রথমবার স্বর্ণ পাম পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন। পরিচালনার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন জুলিয়া।
৬ জুলাই থেকে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরে শুরু হওয়া এ উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৪টি চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ছবিগুলো প্রদর্শনের পর শনিবার রাতে উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর নাম ঘোষণা করা হলো। প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে গ্র্যান্ড পিঙ পুরস্কার পেয়েছে ‘অ্যা হিরো’, ‘কমপার্টমেন্ট নম্বর সিঙ’। জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘আহেদ’স নি’ ও ‘মেমোরিয়া’, সেরা পরিচালক হয়েছেন ‘আনেট’ নির্মাতা লিও ক্যারাঙ, সেরা অভিনেতা ল্যান্ডি জোনস, সেরা অভিনেত্রী রেনেট রেইসভে, সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন হামাহুচি ও তাকামাসা (ড্রাইভ মাই কার) ক্যামেরা দ’র পেয়েছে মুরিনা।
রেহানা মরিয়ম নূর : এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের একটি বিভাগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন আজমেরী হক বাঁধন। আঁ সের্তাঁ রেগা বিভাগে জায়গা পাওয়া এটিই প্রথম কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। শেষ পর্যন্ত এটি কোনো পুরস্কার না জিতলেও উৎসবে অনেকেরই নজর কাড়ে।
