থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া শনিবার ‘তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে। খবর বাসসের।
সীমান্ত সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির অবসানে তারা এই অঙ্গীকার করেছে। ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয় পক্ষকে সৎভাবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তির পথে নিয়ে যাবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কামান, ট্যাংক, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা তিন সপ্তাহের সংঘর্ষে অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সংঘাত দুই দেশের প্রায় সব সীমান্ত প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়। সেই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়। থাই সীমান্ত চৌকিতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি সব ধরনের অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, বেসামরিক স্থাপনা, অবকাঠামো এবং উভয় পক্ষের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অন্তর্ভুক্ত। উভয় দেশ সেনা চলাচল স্থগিত করতে এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকদের দ্রুত ঘরে ফেরার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।












