বিশ্বব্যাপি কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার শিক্ষক মাওলানা সলিম উদ্দীন মাহদীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়ার মুহতামিম ও তাহফীজুল কোরআন সংস্থার সভাপতি আল্লামা মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা ও জামিয়া পটিয়ার সদরে মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, তাহফিজুল কোরআন সংস্থার সহ–সভাপতি আল্লামা জাকারিয়া আল আজহারী এবং বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার মহসচিব মাওলানা নুরুল আবছারসহ জামিয়ার শিক্ষকবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি আহমদ উল্লাহ সাহেব বলেন, বাংলাদেশে তাহফীজুল কোরআন সংস্থার উদ্যোক্তা হলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সাবেক মুহতামিম হাজি ইউনুছ সাহেব (রহ.)। আগে বাংলাদেশে যথাযত মর্যাদা সহকারে সহিহ শুদ্ধ করে কোরআন তেলাওয়াত করা হতো না। আল্লাহ পাক যেভাবে নাযিল করেছেন সেভাবে তিলাওয়াত করা হত না। ভুল ও অশুদ্ধ তিলাওয়াত করা হত। বাংলাদেশে সহিহ শুদ্ধ তিলাওয়াতের প্রচলন করার লক্ষে হাজি সাহেব হুজুর তাহিফীজুল কোরআন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছিলেন। যার বরকতে আল্লাহ পাক পুরো দেশে বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। সভাপতির বক্তবে জামিয়ার মুহতামিম উপস্থিত মেহমান, প্রতিযোগী, প্রতিযোগীর শিক্ষক এবং এ বিশাল আয়োজনে যারা নিরলস মেহনত করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রতিযোগিতায় ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ১১০২জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন। মোট প্রতিযোগী থেকে কোরআন কারিমের ৩০ পারা গ্রুপে ৫২৫ জন এবং ১৫ পারা গ্রুপে ৫৭৭ জন। ৮৫–১০০ নম্বর প্রাপ্ত সকলকে ১ম বিভাগ ধরা হয়। যা তিন ভাগে বিভক্ত করে পুরস্কার প্রদান করা হয় উভয় গ্রুপের পুরষ্কার যোগ্য মোট প্রতিযোগী ৩২১ জন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।