বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের দুই সেরা তারকা তাসকিন আহমেদ এবং শরীফুল ইসলাম দুজনই ইনজুরিতে। দু জনের ইনজুরির অবস্থা দু ধরনের। তাসকিন দেশ থেকে ইনজুরি নিয়ে গেছেন। আর শরীফুল আঘাত পেয়েছেন যক্তরাষ্ট্রে গিয়ে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সময়ই ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন আহমেদ। এরপর বিশ্বকাপ দলে তার থাকা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। শেষ অবধি তাকে সহ–অধিনায়কই করে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজ ও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেননি এই ডানহাতি পেসার। আগামী ৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তাসকিনকে পাওয়ার আশা বাড়ছে। ইতোমধ্যে তিনি শুরু করেছেন বোলিং। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাসকিনকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ফিজিও বায়েজীদুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন তাসকিন অনেক উন্নতি করেছে। গতকাল আউটডোরে বোলিং করার পরিকল্পনা ছিল। এবং সে পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে ইনডোরে নিয়ে আসা হয়। আজ তার পুরোপুরি বোলিং শুরুর কথা রয়েছে। সেটা দেখে বলা যাবে ৭ জুনের ম্যাচে তাকে পাব কি না। এখন পর্যন্ত তার অগ্রগতি খুব ভালো। তাসকিনের সম্ভাবনা খুব ভালো। এ কারণেই সে বিশ্বকাপ দলে আছে। এ ধরনের ইনজুরি চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। এ ধরনের ইনজুরির পর শতভাগ ফিট বলা যায় না, তবে অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে সে। আশা করা হচ্ছে ৭ জুনের মধ্যেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবে। তাসকিনের সঙ্গে দুশ্চিন্তা আছে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামকে নিয়েও। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের সময় হাতে আঘাত পান তিনি। শরিফুলের হাতে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন বায়েজীদুল। তিনি বলেন এ ধরনের সেলাইয়ে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে নিরাময় হয়ে যায়। বাকিটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। আরও তিন–চার দিন পর ওর ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কারও কারও খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। তবে প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
