তালেবান লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

আফগানিস্তানে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস বাইডেনের

| রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান এ সপ্তাহে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি তালেবান লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাদের সহায়তা করতে এবং শক্তি প্রদর্শনের জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত হামলাগুলোর মধ্যে অন্তত একটি তাৎপর্যপূর্ণ হামলা ছিল দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ শহর কান্দাহারে। সেখানে তালেবান বাহিনী শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে যাচ্ছিল, এমন সময়ে এই বিমান হামলা তালেবানের হাতে শহরের পতন ঠেকিয়ে দেয়। অন্যান্য হামলা চালানো হয় প্রতিবেশি হেলমান্দ প্রদেশে, এমন তথ্য জানা গেছে তালেবানের বিবৃতি থেকে। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করলেও, দেশিটিতে মানবিক ও কূটনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, আশরাফ ঘানির সঙ্গে ফোনালাপে এই আশ্বাস দেন বাইডেন। ওয়াশিংটন সেনা প্রত্যাহার কার্যকর করার পর তালেবান বাহিনী কাবুলে আফগান সরকারে ওপর দারুন চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলো এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে, এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ঘানি। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন এবং ঘানি একমত হয়েছেন, তালেবানের বর্তমান আক্রমণ, ‘মধ্যস্ততার মাধ্যমে এই সংঘাতের একটি সমাধানের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান’। বাইডেন প্রশাসন আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ঠিক করেছে।
অপরদিকে এক বিবৃতিতে বিমান হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতবছর সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের যে চুক্তি হয়েছিল তার অবমাননা করা হয়েছে এই হামলার মাধ্যমে এবং এজন্য ‘পরিণতি’ ভোগ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তালেবানের এই বিবৃতি থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিমান হামলার প্রভাব পড়েছে তাদের ওপর। তালেবান যোদ্ধাদের সামপ্রতিক অগ্রযাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর সবগুলোর নিরাপত্তাই হুমকির মুখে ফেলেছে, এমনকি রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণেরও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চালানো বিমান হামলা থেকে একটি ইঙ্গিত মিলেছে, তালেবানের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র কতটা উদ্বিগ্ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ত্রীর বেশ ধরে বিমানে উঠে ধরা কোভিড রোগী
পরবর্তী নিবন্ধছায়া রাণী দাশ