এক সময় দূর গ্রামের রাস্তায় তালগাছ দেখিয়ে বাড়ি চিহ্নিত করা হতো। পুরাতন একটি তালগাছ সাধারণত ৮০থেকে ৯০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন গাছ গাছালির মধ্যে সরু দীর্ঘ তালগাছকেই প্রথম চোখে পড়ে। সেই তালগাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।
পরিবেশ রক্ষায় তালগাছের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ গাছে বাবুই পাখি বাসা বুনে। তালগাছ কমে যাওয়ায় বাবুই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। ভূমিক্ষয় ভূমিধস এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে তালগাছের গুরুত্ব অপরিসীম। এ গাছ লম্বা হওয়ায় মেঘের ঘনঘটা বাড়িয়ে বৃষ্টিপাতও ঘটায়। ইদানীং বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন–তালগাছের বাকলে পুরু কার্বনের স্তর থাকায় বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে মানুষকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করে। এ গাছ বজ্রপাতের বিদ্যুৎ শোষণ করে সরাসরি মাটিতে মিলিয়ে দেয় যার ফলে কারো ক্ষতি সাধন হয় না। রাস্তার পাশে বা পরিত্যক্ত ভিটেমাটিতে যেখানে চাষবাস হয় না সেখানে শক্ত অবস্থানে তালগাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। সারিবদ্ধ তালগাছ প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। তাই মানুষ, পশুপাখি সবার উপকারী প্রকৃতিবান্ধব তালগাছ লাগানোর জন্য সবাইকে সচেতন করা দরকার।
সুকান্ত দেবনাথ
নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।