অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সড়কবাতি চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তার নাম মো. ইউসুফ প্রকাশ রুবেল (৩১)। গত সোমবার রাতে ও আর নিজাম রোডে তার চুরির চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে তার কাটার একটি প্লাস, একটি কাটার প্লাস, একটি বাঁশের সিঁড়ি, একটি ইনসুলেটিং লাল টেপ ও একটি বৈদ্যুতিক টেস্টার উদ্ধার করা হয়। ইউসুফ ভোলার ফুলবাগিচার মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে সে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের ইয়াকুব নগর রাজু কলোনিতে বসবাস করে আসছিল। এ ঘটনায় চসিকের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আনোয়ারুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ও আর নিজাম রোডের এএনজেড বিল্ডিংয়ের সামনে সিঁড়ি দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে উঠে ইউসুফ। এসময় কাটিং প্লাস দিয়ে তার কাটার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা দেখে ফেলে। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দৈনিক আজাদীকে বলেন, সড়কবাতি চোর চক্রের একজনকে আটক করি। সে মাদকাসক্ত। তাই আটকের পর চাপ দিয়ে তার কাছ থেকে তথ্য আদায় করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা রিমান্ড আবেদন করেছি। আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ আজাদীকে বলেন, প্রায় সময় শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়কবাতির তার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মিটার তার চুরি হয়েছে। তার চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় সড়কবাতি জ্বলছে না। আর মানুষ আমাদের ভুল বুঝে। এ বিষয়ে বিভিন্ন থানায় আমরা অভিযোগ করেছি। অবশেষে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় একজনকে আটক করেছে। আশা কারছি আটক চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো চোর চক্রের হদিস মিলবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল দৈনিক আজাদীতে ‘নগরীতে অনেক সড়কে ঘুটঘুটে অন্ধকার, ৩৫ হাজার মিটার তার চুরি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে সিএমপি। চোরচক্রকে আটক করতে তৎপরতা শুরু করে।