তারেক রহমান আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল

| রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনে জিতলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিল অধিবেশনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া তারেক রহমানকে ‘ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে সম্বোধন করে দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডা. ফরিদ আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন চিকিৎসক। আমার স্ত্রীর চিকিৎসক। এবং আমি তার কাছে অত্যন্ত ঋণী। উনি আমাকে বলছিলেন, উনি যে বিষয়টার ওপর বিশেষজ্ঞ, বিলাত থেকে এসে এখানে তিনি ক্যান্সারের ওপরে যে কাজগুলো করতে চান, সেই কাজগুলো করতে পারছেন না। মেধাবী চিকিৎসক নিয়ে এখানে একটা সেন্টার গড়ে তুলতে চান, যেটা হবে ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’। কিন্তু সেটা করতে পারছেন না। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় শুধু নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা, ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী, ভবিষ্যতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজকে এখানে বসে আছেন। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, আমাদের এই নেতা আমাদের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী, তার দৃষ্টিতে এটা আনতে চাই। তার স্ত্রীও (জুবাইদা রহমান) একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক, এখান (ঢাকা) থেকে তিনি গ্রাজুয়েশন করেছেন। এই বিষয়টার দিকে তিনি অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণ ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা এটা বড় বিশাল একটা দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। ঢাকার কাকরাইলে উইলন্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ড্যাবের জাতীয় কাউন্সিল২০২৫ এর আয়োজন হয়। কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ওষুধ নীতি বিশেষ করে, যারা ওষুধ তৈরি করেন, প্রস্তুতকারক, তারা দুদিন আগে আমার কাছে এসেছিলেন। তারা গুরুতর সংকটে আছেন। বর্তমান সরকারপ্রধানের যিনি বিশেষ সহকারী আছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, তিনি এমন কতগুলো ব্যবস্থা বা আইন দিচ্ছেন যাতে করে (ওষুধ) শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই যে বিষয়গুলো, এগুলো কিন্তু আমাদের তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যে এখানে আমাদের ওষুধ শিল্প, পৃথিবীর (অন্য দেশ) সঙ্গে আপনার প্রতিযোগিতা করছিল, বাইরে রপ্তানি করছিল, এখন তারা বলছে যে, আমাদেরকে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে, অর্থাৎ এই সরকারের নীতিগুলো এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব, তিনি যে ৩১ দফা দিয়েছেন, এই জাতির সবচাইতে প্রয়োজনীয় যে দফাগুলো দিয়েছেন, ম্যাগনাকাটা বলি আমরা এটাকে, সেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তিনি (তারেক রহমান) উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার করেছেন।

তিনি বলেন, আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমরা দেখতে চাই, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়, বাংলাদেশে শুধুমাত্র মানুষের ভোটের অধিকার নয়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, অন্নের অধিকার সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
পরবর্তী নিবন্ধচন্দ্রঘোনা-লিচুবাগান টানা ৩ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ