তারা শুধু নগদ টাকাগুলো গুনে নিয়ে গেল। মাটির ব্যাংক ভেঙে এবং আলমারির তালা ভেঙে খুঁজে খুঁজে শুধু নগদ টাকাই নিয়ে যায় চোরের দল। যদিও ঘরের মধ্যে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রি থাকলেও তারা আর কেনোটাতেই হাত লাগায়নি। নগদ টাকা ছাড়া ঘরে অবশ্য কোনো স্বর্ণালংকার ছিলনা। গতকাল সোমবার নগরীর মেয়র গলিতে সংঘটিত দুঃসাহসিক এক চুরির ঘটনায় চোরের দল শুধু টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মেয়র গলির গ্রীণ ভ্যালী আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডের ২১ নম্বর আকাশী ভিলা নামের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করেন ব্যবসায়ী এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে উক্ত বাসায় বসবাস করে তিনি নগরীর বিভিন্ন স্থানে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশানের কাজ করে থাকেন।
এতে বিভিন্ন সময় মালামাল কেনার জন্য বিভিন্ন পার্টির দেয়া নগদ বিপুল পরিমাণ টাকা তার হাতে থাকে। যা তিনি ঘরে সংরক্ষণ করতেন। গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ লুৎফর রহমানের স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল থেকে বেলা ২টা নাগাদ ফিরে দেখেন ঘরের মূল দরজা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে তিনি পুরো ঘর তছনছ করা অবস্থায় দেখতে পান। পরে দেখা যায় আলমারি এবং মাটির ব্যাংক ভেঙে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আলমারিসহ ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করলেও চোরেরা অন্য কোন মালামাল নিয়ে যায়নি। ঘরে মালামাল কেনার জন্য নগদ ১১ লাখ টাকা ছিল বলে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান জানান।
ঘটনার ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে জানালে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শ করে। কিন্তু গতরাত পর্যন্ত চোরের কোন হদিশ পুলিশ করতে পারেনি। পুলিশ ভবনটির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
এতে সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সময়ে যত লোকজন ভবনটিতে প্রবেশ করেছে তাদের প্রত্যেকের ভিডিওচিত্র রয়েছে। ভবনটির দারোয়ান এবং একজন গৃহপরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরির ঘটনাটি উদঘাটিত হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী লুৎফর।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে চোর ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে।