তায়কোয়ান্ডোতে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে মশিউর-সুমনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২ জুলাই, ২০২৪ at ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া যে সব সাব কমিটি গঠন করেছে তাদের মধ্যে সবচাইতে হাই প্রোফাইল কমিটি বোধহয় তায়কোয়ান্ডো কমিটি। কারণ এই কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদক দুজনই রয়েছেন ফেডারেশনের দুটি বড় পদে। এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরীকে। তিনি আবার বাংলাদেশ তায়কোয়ান্ডো ফেডারেশনের সহ সভাপতি। আর সম্পাদক করা হয়েছে সিজেকেএস কাউন্সিলর সুমন দে কে। তিনি বাংলাদেশ তায়কোয়ান্ডো ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক। কাজেই একটি ফেডারেশনে দুই শীর্ষ কর্তা নেই আর কোন সাব কমিটিতে। তাই এই কমিটি নিয়ে প্রত্যাশার বেলুনটা একটু বেশিই বড়। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব খেলাধুলার ইভেন্ট চর্চা হয় তাদের মধ্যে সম্ভাবনাময় ইভেন্ট এই তায়কোয়ান্ডো। এরই মধ্যে সাউথ এশিয়ান গেমস ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসে তায়কোয়ান্ডো বেশ কিছু পদক জিতে এসেছে। ফুটবল, ক্রিকেটের মত জনপ্রিয় ইভেন্ট গুলোর কারনে তায়কোয়ান্ডো খানিকটা আড়ালে থাকলেও এই ইভেন্ট বাংলাদেশের জণ্য বেশ সম্ভাবনাময়।

চট্টগ্রামেও এই ইভেন্টটি বেশ চালু রয়েছে। প্রতি বছরই একাধিক টুর্নামেন্ট এবং লিগ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এবারে যেহেতু এই কমিটির দায়িত্ব পড়েছে দুই ফেডারেশন কর্মকর্তার কাধে তাই আশার বেলুনটা একটু বেশি বড় হচ্ছে। কারন মশিউর এবং সুমনের নেতৃত্বে এই ইভেন্ট থেকে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব বলে মনে করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। কমিটির যিনি সভাপতি সেই মশিউর রহমানও জানালেন আশার কথা। তিনি মনে করেন এই তায়কোয়ান্ডো থেকে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যেগ গ্রহণ করা। তিনি জানান তারা নিজেরাই তায়কোয়ান্ডো খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্লাবের মাধ্যমে তায়কোয়ান্ডো প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন আমরা মনে করি নিজেদের খেলোয়াড় না তাকলে কোন ইভেন্টেই ভাল করা সম্ভব হবেনা। তাই আমরা আগে নিজেরা খেলোয়াড় সৃষ্টির কাজটা করছি। তিনি বলেন আমরা প্রায়শই বলি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড় সৃষ্টি করা হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটা করা হয়না। তাই সাফল্যও আমরা পাইনা। তাছাড়া খন যেসব ইনডোর গেমস রয়েছে বাংলাদেশে বা চট্টগ্রামে সে সব ইভেন্ট থেকে পদক নিয়ে আনা মোটেও কঠিন কাজ নয়। আমরা সে লক্ষ্য নিয়েই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এই তায়কোয়ান্ডো থেকে ভাল কিছু অর্জন করতে পারব। আর চেষ্টাই থাকবে আমাদের।

এদিকে কমিটির সম্পাদকও যেন সভাপতির কথার প্রতিধ্বনি করলেন। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তায়কোয়ান্ডো দল নিয়ে পদক জিতে এসেছেন সুমন দে। এখন তারও লক্ষ্য চট্টগ্রামে তায়কোয়ান্ডোকে আরো জনপ্রিয় করে তোলা। আর সেটা সম্ভবও বলে মনে করেন তিনি। এমনিতেই চট্টগ্রামে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে তায়কোয়ান্ডো। এখন অনেক ছেলে মেয়ে এই খেলাটির প্রশিক্ষন নিচ্ছে। বিশেষ করে মেয়েরা বেশ এগিয়ে আসছে। ফলে এই খেলা থেকে পদক পাওয়াটা মোটেও কঠিন হওয়ার কথা নয়। চট্টগ্রামে যেহেতু নিয়মিত চর্চা হয় খেলাটির তাই সম্ভাবনাময় এই ইভেন্ট টি নিয়ে এগিয়ে যেতে চান সুমন। জাতীয় পর্যায়ে যেসব গেমস হয় সে সব গেমসে থেকে চট্টগ্রামের জন্য তায়কোয়ান্ডো পদক নিয়ে আসবেন বলেও আশাবাদি তিনি। অতি শীঘ্রই কমিটির সবাইকে নিয়ে বসে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি। চট্টগ্রামে যেসব টুর্নামেন্ট বা লিগ নিয়মিত হয় সেগুলো আয়োজনের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট আয়োজনেরও চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন কমিটির সম্পাদক সুমন দে। মশিউর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটির সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন ফারুকুজ্জামান, নওশাদ সরওয়ার, আরিফ আহমেদ চৌধুরী, সুলতান মাহমুদ খান শাহীন এবং অনুপ বিশ্বাস। সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুমন দে কে। তিনজন যুগ্ম সম্পাদক হলেণ আলি ইকরামুল হক, আবদুল্লাহ আল নোমান এবং আমির হোসেন সোহাগ। সদস্যরা হলেন শাহাদাত হোসেন, আবু সাদাত সায়েম, কপিল উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন, গোলাম মাওলা এবং সাজেদা আকতার সাজু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিসিবির আজকের সভায় বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতা নিয়ে হবে আলোচনা
পরবর্তী নিবন্ধপ্যারিস অলিম্পিকে দৌড়াবেন বাংলাদেশের ইমরানুর