তামিম ইকবাল আগের দিন অবসরের ঘোষণা দেওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পরের দুই ওয়ানডে ম্যাচের জন্য অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন লিটন দাশ। গতকাল ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে আসছিল তামিমের প্রসঙ্গ। তবে তামিম প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি লিটন। তবে তিনি জানিয়েছেন তামিম অবসরে চলে গেলেও দলের ভেতরে তেমন কোনো বদল আসছে না। লিটন বলেন তামিম আগের ম্যাচে ছিলেন। এই ম্যাচে থাকবেন না। এটা যদি কোনো ভাবে ইনজুরির কারনে হতো তাহলে আমরা কিন্তু বিকল্প দলই খেলতাম। আমার মনে হয় না দলে এরকম কোনো কিছু বদল আসবে। একই ভাবে থাকবে সব কিছু। তামিমকে ছাড়া গতকাল শুক্রবারের অনুশীলনেও দেখা যায়নি তেমন কোনো ব্যতিক্রম। সকালে স্ট্রেচিংয়ের পর গা গরমের ফুটবল খেলে স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন লিটন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। পরে মাঠের চার প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচ সিনারিও ক্যাচিং অনুশীলন করেন তারা।
এরপর দুই প্রান্তের নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে মনোযোগ দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়রা। প্রথম ম্যাচের আগের দিনের মতোই সেন্টার উইকেটের পাশের নেটে বোলিং করেন পেসাররা। চান্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় দেখা যায় সিরিজের বাকি দুই ম্যাচের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া লিটনকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতেও তেমন বাড়তি কোনো চ্যালেঞ্জ দেখেন না লিটন। অতীতকে বাদ দিয়ে বরং সামনের দিকে তাকানোর তাগিদ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের। তিনি বলেন দলের ক্রিকেটার সবাই একই আছে।
তামিমকে কতটা মিস করবেন লিটন সেটা বলা কঠিন মনে করছেন তিনিহয়তো এটাই নিয়ম। আমি আজকে আছি। কালকে ইনজুরি হয়ে গেলে কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে মিস করবে না। এটা স্বাভাবিক। সামনের দিকে যাওয়ার পথে নতুন ক্রিকেটাররা আসতে থাকবে। একটা সময় তারা আসবে বা আমরা চলে যাব। এটা হতেই থাকবে। অবশ্যই তিনি যদি থাকতেন ভালো হতো, নাও হতে পারত। এখন যেহেতু নেই, এটা নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। তামিম কিন্তু একটা জিনিস বলে গেছে, সব কিছুর আগে দল। উনি কিন্তু যেতে যেতে এই কথাটাই বলে গেছেন। আমরা দলের জন্য খেলি, দলই সবার আগে। আমার কাছে মনে হয় না, এটার এখন কোনো পয়েন্ট আছে। বিসিবি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি চেষ্টা করব শতভাগ দেওয়ার। চেষ্টা করব আমার তরফ থেকে এবং আমার সতীর্থরা যেন ভালো একটা ফল আনতে পারে।