দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট মিস করা তামিম ইকবাল দ্বিতীয় টেস্টে দারুন শুরু করেছিলেন। শুরু থেকেই সোজা ব্যাটে কী চমৎকার খেলছিলেন তামিম ইকবাল। হঠাৎ তিনি কেন অমন ঝুঁকি নিলেন, বুঝতে পারছেন না জেমি সিডন্স। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের ধারণা, সম্ভবত বাউন্ডারি দিয়ে পঞ্চাশ ছুঁতে গিয়ে তামিম ভুলে গিয়েছিলেন কীভাবে ব্যাট করছিলেন তিনি। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে উইকেট হারালেও তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু তামিমের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম, শান্ত ও মোমিনুল হক আউট হন ভিয়ান মুল্ডারের ইনসুইঙ্গারে। অন্য দুটি উইকেট নেন ডুয়ানে অলিভিয়ের। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ বলেন আমার মনে হয়, চার দিয়ে তামিম পঞ্চাশ ছুঁতে চেয়েছিল তামিম। সে ভুলে গিয়েছিল, পুরো ইনিংস কীভাবে খেলেছে। সে নান্দনিক সোজা ব্যাটে খেলছিল। পা আড়াআড়ি ছিল না। ওর আগ্রাসী ব্যাটিং বোলারদের চাপে ফেলে দিয়েছিল । যেটা ছিল অসাধারণ। আমাদের ড্রেসিংরুম নির্ভার হয়ে উঠেছিল। আমি মনে করি, ৪৭ পর্যন্ত সে ভালো খেলেছে। খুব ভালো হতো যদি এভাবে চালিয়ে যেতে পারতো। রাউন্ড দ্যা উইকেটে করা মুল্ডারের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকে অ্যাঙ্গেলে। অন সাইডে খেলার চেষ্টায় তামিম ব্যাটের মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন একটু আগেই। বল লাগে প্যাডে। প্রোটিয়াসদের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। পরের ওভারে ঠিক একইভাবে আউট হন শান্ত। প্রায় এক বছর পর টেস্টে ফেরা তামিম শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। নিজের জোনে পেলেই মারছিলেন বাউন্ডারি। মাঝে মধ্যে একটু ঝুঁকিও নিচ্ছিলেন। সিডন্স মনে করেন, তামিমের আউটের পেছনে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের দায় নেই। তামিমের ইনিংস ওর সহজাত ব্যাটিংয়েই এগিয়েছে। টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে সে শুরুতে আগ্রাসী থাকে। পরে থিতু হয়। পেসারদের শুধু বাজে বলগুলোর ওপরই চড়াও হয়। আজ বল ভালো ছেড়েছে, ডিফেন্স করেছে। ইনিংসের শুরুতে সে ও শান্ত রাউন্ড দা উইকেটে করা বল খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। আমার মনে হয় না, আগ্রাসনের জন্য তামিম আউট হয়েছে। এটা ছিল বাজে একটি মানসিক ভুল। দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম হার্মারের বল ঠেকাতে চাইলেও ক্যাচ উঠে যায়। তা ধরে নেন মুলডার। মাত্র ১৩ রানে যবনিকা ঘটে তার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং।
