তামিম ইকবাল খান এবং নাঈম হাসান। দুজনের বাড়িই চট্টগ্রামে। দুজনই প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় দলের। এবারের বিপিএলেও নাঈম হাসান ও তামিম ইকবাল খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। গত বছর তামিমের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবারও বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে বরিশাল। অভিজ্ঞ এবং তারুণ্য মিলে দারুন ব্যালেন্স একটি দল এবারে ফরচুন বরিশাল । তাই শিরোপা ধরে রাখার সংকল্পটাও ধরে রেখেছে তারা এবারেও। গতকাল শুক্রবার থেকে পূবেরগাঁও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুশীলন শুরু করেছে ফরচুন বরিশাল। অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্পিনার নাঈম হাসান। গত বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটারের এবারের ঠিকানা বরিশাল। এখানে অধিনায়ক তামিমের সমর্থন পাবেন বলেই আশা তার।
তিনি বলেন তামিমের সঙ্গে আগেও খেলেছি । ওনি আমার অনেক সিনিয়র। ওনার অধীনে খেলে অনেক মজা। জাতীয় দলে যখন উনি ছিল, তখনও এই মজাটা্ ছিল । উনি দলে থাকলে সব সময় আলাদা সমর্থন পাওয়া যায়। তার সাথে খেলার অভিজ্ঞতাটাই যেন অন্যরকম। গতকাল প্রথম দিনের অনুশীলন ম্যাচ সিনারিওতে করতে দেখা গেছে বরিশালকে। দলটিতে তারকা ক্রিকেটারদের ভিড় অনেক। দেশি ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই খেলেছেন সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে। এজন্যই এমন অনুশীলন বলে জানিয়েছেন নাঈম। তরুন এই স্পিনার বলেন আসলে আমরা তো সবাই ম্যাচের মধ্যে ছিলাম। সবাই এনসিএল টি–টোয়েন্টি খেলেছি। সবাই চেষ্টা করছি যে, সময় তো আসলে নাই । বলঅ যায় লম্বা টাইম অনুশীলন করার জন্য একদিনই সময় আছে। ওই হিসেবে অনুশীলনটা করা। আর সেটা আমাদের জণ্য বেশ উপকার হচ্ছে। বরিশাল দলটিতে স্পিনারের ছড়াছড়ি। তানভীর ইসলাম রয়েছে, তাইজুল ইসলাম রয়েছে। রিশাদ হোসেন রয়েছেন। তাই নাঈমকে একাদশে জায়গা পেতে বেশ লড়াই করতে হবে। নাঈম স্বীকারও করেন সেটা। একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন আসলে আমাদের দলে প্রতিযোগিতা তো বেশি। এটা আমাদের দলের জন্যই ভালো। সবাইকে সবার জায়গা থেকে শতভাগ দিতে হবে। কারণ– একজনের জায়গায় আরেকজন আসতে পারে। ওই জন্য প্রতিযোগিতা বেশি থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা যখন ভালো হবে তখন দলের ফল ভালো হয়। তবে দলেল সবাই যার যার জায়গা থেকে সেরাটা দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। বিশেষ করে তামিম ইকবাল যেখানে অধিনায়ক সেখানে কিভাবে সেরাটা বের করতে হয় সেটা তিনি বেশ ভালই জানেন। তাই আশা করছি তামিমের নেতৃত্বে আমরা আরো একবার শিরোপা জেতার লক্ষ্যে এবারের বিপিএল শুরু করব।