বিপিএলের সিলেট পর্বে শুভসূচনা করেছে ফরচুন বরিশাল। গতকাল তারা ১৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় দুর্বার রাজশাহীকে। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করা রাজশাহী নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বরিশাল ১৭.৩ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ১৬৯ রান তুলে নেয়। মূলত তামিমের অনবদ্য ঝড়ো ব্যাটিংশৈলী বরিশালের জয় ত্বরান্বিত করে। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বরিশাল তাদের উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনে। তামিমের সাথে পাঠানো হয় প্রিতম কুমারকে। কিন্তু প্রিতম ফিরেছেন চতুর্থ ওভারেই। ৯ বলে ৩ রান করে মোহর শেখের বলে বোল্ড হন প্রিতম। এরপর কাইল মায়ার্সকে নিয়ে ৪১ রান যোগ করেন তামিম। মোহর শেখের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন মায়ার্স। ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন মায়ার্স। এ ম্যাচেও ব্যর্থ হন তাওহিদ হৃদয়। ফিরেছেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। তবে দলকে টেনে নিয়ে যান তামিম। তুলে নেন এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এরপরও থামেননি তামিম। দলকে জয় উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪৮ বলে ১১টি চার এবং ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৮৬ রান করেন তামিম। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন মুশফিকুর রহিম। ২৪ বলে ৩৪ রান তোলেন তিনি ৪টি চার এবং ১টি ছ্ক্কার সাহায্যে। তামিম–মুশফিক জুটি ৪র্থ উইকেটে ৪৫ বলে ৭৬ রান যোগ করেন। ম্যাচ সেরা হন তামিম ইকবাল। মোহর শেখ ২টি এবং জিসান আলম ১টি উইকেট লাভ করেন। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা দুর্বার রাজশাহী ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ১৬ বলে ২২ রান করা মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন জিসান আলম এবং অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ফাহিম আশরাফ ভাঙেন এজুটি। তিনি ফেরান ২৭ বলে ৩৮ নরান করা জিসান আলমকে। তিনটি করে চার এবং ছক্কা মেরেছেন জিসান। এরপর তৃতীয় উইকেটে এনামুল হক এবং ইয়াসির আলি রাব্বি মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। বেশ ভালই এগুচ্ছিলেন এদুজন। শাহীন শাহ আফ্রিদি এসে ভাঙেন এজুটি। তার শিকার ২৩ বলে ৩৭ রান করা ইয়াসির আলি রাব্বি। ২টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা মেরেছেন রাব্বি। অধিনায়ক এনামুল হককেও ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি। রাজশাহী অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান। শেষ দিকে বার্লের ১১ বলে ১০ আর আকবর আলির ৯ বলে ১৫ রানের সুবাধে ১৬৮ রান করে দুর্বার রাজশাহী। ফরচুন বরিশালের পক্ষে ২০ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।