তামিমের ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন সবগুলো করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং একটি স্টেন্ট করা হয়েছে। তামিম ইকবালের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেখানেই তামিম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়। কেপিজে হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব তামিম ইকবালের স্টেন্টিং কীভাবে করানো হয়েছে, সে আপডেট দেন। তিনি বলেন আল্লাহর রহমতে স্টেন্টিংটা খুব স্মুথলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ওনার স্টেন্টিং করেছেন। ওনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। উনি যেমন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্টেন্টিংয়ের পর ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি। আরো সময় লাগবে। ওনার জন্য আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা আশাবাদী উনি ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এর আগে সকালে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল মোহামেডানের। টস করার পরই হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দলীয় কর্মকর্তা এবং সতীর্থদের বিষয়টা জানান। তখন বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টারও বিকেএসপিতে আসে। কিন্তু হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও তৌফিক বিন ইসমাইলসহ বিসিবি ও বিকেএসপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সবশেষে ডা. রাজীব বলেন বিকেএসপির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই ওনারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়াটা ব্যাপার নয়। কিন্তু ওই সময়টা এটেন্ড করতে না পারলে কি হতো বলা আসলে মুশকিল।