উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহায়তায় একটি শক্তিশালী তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩ ডিসেম্বর কোর্টহিল চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী, স্বপ্নিল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার, পার্ক এর প্রধান নির্বাহী নজরুল ইসলাম মান্না, ঈষিকা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জহুর ইসলাম, মমতার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুহিদ, অপারাজেয় বাংলাদেশের জিনাত আরা বেগম, ঊষা নারী উন্নয়ন সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিযুষ দাশ গুপ্ত, কোডেকের অলকা চৌধুরী, ডাপার কাজী শাহ কামাল, সিডিসি, ইকো ফাউন্ডেশন এবং সবুজের যাত্রার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে লিফলেট বিতরণ করা হয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে তামাক সেবনের হার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পথে বড় বাধা। অসংখ্য মানুষ তামাকজনিত রোগে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছে। তামাক স্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশ ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। তামাকের এ অপব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর উপায়ে করারোপ, বিদ্যমান তামাকনিয়ন্ত্রন আইন যুগোপযোগীকরণ এবং একটি শক্তিশালী ও স্থায়িত্বশীল তামাক কর নীতি প্রয়োজন। কর এবং মূল্য বৃদ্ধি তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে কিশোর ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠির মাঝে তামাক ব্যবহার হ্রাসে দৃশ্যমান প্রভাব ফেলে। এতে করে নতুন প্রজন্ম তামাকে আসক্ত হবার ঝুঁকি হ্রাস, রাজস্ব আয় বাড়বে এবং চিকিৎসা খাতে সরকারের ব্যয় হ্রাস পাবে। বিদ্যমান আইন ও ত্রুটিযুক্ত কর আদায় পদ্ধতির ফাঁক ফোকর দিয়ে তামাক কোম্পানীগুলো ব্যাপক পরিমাণ কর ফাঁকি দিচ্ছে, ফলে রাষ্ট্র বিপুল রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। তামাক কোম্পানীগুলোর এ ধরনের অপকৌশলের মাধ্যমে জনগণ ও সরকারের ক্ষতি প্রতিরোধে মানববন্ধন থেকে বিদ্যমান তামাকনিয়ন্ত্রন আইন শক্তিশালীকরণ এবং একটি স্থায়িত্বশীল তামাক কর নীতি প্রণয়নের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











