তাণ্ডবের পরেও হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিচার হয় না

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের সংবাদ সম্মেলন

| সোমবার , ৫ এপ্রিল, ২০২১ at ১২:০০ অপরাহ্ণ

ইসলামের নামে চিহ্নিত উগ্রবাদীগোষ্ঠির অরাজকতার প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, বাংলাদেশের মুখপাত্র এডভোকেট মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার। তিনি বলেন, এদেশের মুসলিম নামধারী কিছু চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠীর জনবিধ্বংসী কার্যক্রম আজ শুধু ইসলামকেই কলঙ্কিত করছে না, অধিকন্তু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরকেও সন্ত্রাসী-জঙ্গি হিসেবে রূপায়িত করার চক্রান্তকে ধীরে-ধীরে বাস্তবায়নের পথ সুগম করে দিচ্ছে। এদের এমন জঘন্য অপতৎপরতার সাথে ইসলামের যে কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন থানা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চালানোর পরেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিচার হয় না। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম নাম ধারণ করে একটি চিহ্নিত উগ্রগোষ্ঠী বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে ও বিভিন্ন অজুহাতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মুখে ফেলে দিচ্ছে। হাটহাজারী ভূমি অফিসে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষের সম্পদের দলিল-পত্র ধ্বংস করেছে। কোনভাবেই এটা বিবেকসম্পন্ন এবং ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। ইসলামী আন্দোলনের নামে কেন জাতীয় সম্পদ ট্রেন, বাস, সরকারি স্থাপনা পোড়ানোর মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে? ইসলাম এটা সমর্থন করে না।
মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, হেফাজত সবসময় সরকারের আনুকূল্য পেয়েছে। ফলে তারা বারবার বিশৃঙ্খল পথই বেছে নিয়েছে, যাতে সরকারকে জিম্মি করে আরো বেশি সুবিধা আদায় করা যায়। একথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল কওমী-ওহাবী-হেফাজতিরাই। তারা রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর মতো মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্ট কেলেঙ্কারির বিষয়ে মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, হেফাজতে ইসলাম বারবার মাওলানা ও মাদরাসাকে বিতর্কিত করেছে।
এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা মসিহুদ্দৌলাহ, মাওলানা এম এ মতিন, অধ্যক্ষ স উ ম আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ খলিলুর রহমান নেজামী, শাহ নুর মোহাম্মদ আলক্বাদেরী, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, আব্দুন নবী আলক্বাদেরী, ওবায়দুল মোস্তফা কদমরসুলী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ, আশরাফ হোসাইন, মুহাম্মদ অলিউল্লাহ জেহাদী, আলমগীর হোসাইন বঈদী, সোহাইল উদ্দীন আনসারী, আদনান তাহসিন আলমদার, মুহাম্মদ হানিফ মান্নান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ গেম্‌স দাবায় তনিমার রৌপ্য পদক লাভ