তাজউদ্দীন আহমদ : স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ২৩ জুলাই, ২০২৪ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

তাজউদ্দীন আহমদ খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসেবে সুপরিচিত। বিশিষ্ট এই ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। আজ তাঁর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী।

তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম ১৯২৫ সালের ২৩শে জুলাই গাজীপুর জেলার দরদরিয়া গ্রামে। ১৯৫৩ সালে তিনি অর্থনীতিতে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবনেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত হন তিনি। শুরুতে মুসলিম লীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীসময়ে দলটির গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ ও পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি।

বাঙালির স্বাধীকার অর্জন ও অর্থনৈতিক মুক্তি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং সামপ্রদায়িকতা বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনসংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন তাজউদ্দীন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। বৈদ্যনাথতলাকেই ‘মুজিবনগর’ নামে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন তৈরি, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ সহ নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হলে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে ছেড়ে দেন মন্ত্রীত্ব। পরের বছর, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২৩শে আগস্ট তাজউদ্দীন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকাবস্থায় অপর তিন রাজনৈতিক সহযোগী ও জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, .এইচ.এম কামরুজ্জামান এবং মনসুর আলীর সাথে তাজউদ্দীন আহমদকে হত্যা করা হয় নৃশংসভাবে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পরিচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধবহদ্দারহাট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ চাই