তাইওয়ানের ওপর চীনা ক্ষেপণাস্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই হবে : যুক্তরাষ্ট্র

| বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

তাইওয়ানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যে সিদ্ধান্ত চীন নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এর বিরুদ্ধাচরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। তা না হলে চীনের এইসব কার্যকলাপ একসময় স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল কার্ল থমাস। চীনকে তিনি ‘আ গোরিলা ইন দ্য রুম’ (একটি এলাকায় সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি যাকে নিজেরা বিপদে পড়ার ভয়ে অন্যরা কিছু বলে না) বলে বর্ণনা করেন। খবর বিডিনিউজের। তাইওয়ান ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা নতুন নয়। কিন্তু এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর চীনকে দারুণ ক্ষুব্ধ করেছে। পেলোসির তাইওয়ান পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্বীপটি ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীন। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন দ্বীপটিকে নিজের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। চীনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এত শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার তাইওয়ান সফর সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কানি দেবে। পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়া চীন-তাইওয়ান ঘিরে যে বৃহৎ সামরিক মহড়া চালিয়েছে সেখানে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন করার কথা বেইজিং আগেই জানিয়েছিল। তবে তারা ঠিক তাইওয়ানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেয়নি। যদিও তাইপের দাবি, চীন তাদের ওপর দিয়ে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তাইওয়ান ঘিরে এখনও নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন ভাইস অ্যাডমিরাল থমাস বলেছেন, আমাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধাচরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি তারা তাইওয়ানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তাইওয়ানের উপর দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। যদি আমরা একে চ্যালেঞ্জ না জানাই…তবে হঠাৎই একদিন দেখব ওই অঞ্চলের অবস্থাও ঠিক দক্ষিণ চীন সাগরের অন্যান্য দ্বীপের মত হয়ে গেছে। যেগুলো এখন (চীনের) সামরিক ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। সেগুলো এখন পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় সামরিক ফাঁড়ি হয়ে গেছে। সেগুলোর উপর দিয়ে এখন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সেগুলোতে বৃহৎ রানওয়ে, হ্যাঙ্গার, রেডার এবং রেডিও স্টেশন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ঘাঁটি জাপানের ইয়োকোসুকায়। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর মোতায়েন করা সবচেয়ে বৃহৎ এবং আধুনিক নৌবহর এটি। ওই নৌবহরে ৫০ থেকে ৭০টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রয়েছে। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সপ্তম নৌবহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরে দেশে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পারমাণবিক যুদ্ধে মরতে পারে ৫০০ কোটি