চীনের পক্ষ নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দেশ নাউরু। তাইওয়ানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাত্র একদিন পর নাউরু এই ঘোষণা দিল। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন তা মানে না এবং তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্র তাইপের সবচেয়ে শাক্তিশালী মিত্র হলেও ওয়াশিংটন তাইওয়ানকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে ওয়াশিংটন–তাইপের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। নাউরুসহ বিশ্বের মাত্র ১২টি দেশের তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল।
সোমবার নাউরু থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা আসায় এখন মাত্র ১১টি দেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতায় স্বীকৃতি দেয়। বিবিসি জানায়, গত কয়েক বছর ধরে বেইজিং তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা দেশগুলোকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।
যাতে তারা তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। গত বছর মার্চে হন্ডুরাস তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরানো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। নাউরুর সিদ্ধান্তের পেছনেও বেইজিংয়ের হাত আছে বলে বিশ্বাস তাইওয়ানের। কারণ, শনিবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন চীন বিরোধী প্রার্থী উইলিয়াম লাই। যা চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে।