তরুণীদের পছন্দ গাউন তরুণদের পাঞ্জাবি

জমে উঠছে ঈদ বাজার, মার্কেটে বাড়ছে ভিড়

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২২ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জমে উঠতে শুরু করেছে নগরীর ঈদ বাজার। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে ক্রেতারা মার্কেটে ভিড় করতে থাকে। তবে বিক্রির চাপ বাড়ে ইফতারের পর থেকে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে কটন, সিল্ক, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ে হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারির থ্রি পিস এবং ব্লক প্রিন্টের শাড়ির চাহিদাই বেশি। এছাড়া তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ক্যাজুয়্যাল টি-শার্ট, ফরমাল টি-শার্ট, শাট, ফতুয়া ও বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। তবে উঠতি তরুণীদের একটি বিরাট অংশ গাউন এবং ফ্রক কেনার দিকে ঝুঁকছেন। অন্যদিকে মধ্যবয়সী নারীদের এক নম্বর পছন্দ রকমারি ডিজাইনের শাড়ি।

নগরীর চকবাজারের মতি টাওয়ার, চক ভিউ সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, ২ নং গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, বালি আর্কেড, স্যানমার ওস্যান সিটি, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স মার্কেট,আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে তরুণীরা পছন্দের জামা কাপড় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছেন। এছাড়া পাঞ্জাবির শো রুমগুলোতে তরুণদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

বহদ্দারহাট থেকে আসা কলেজ ছাত্র মিনহাজ উদ্দিন বলেন, রোজার শেষের দিকে ভালো মানের পাঞ্জাবির কালেকশন থাকে না। তাই একটু আগেই পাঞ্জাবি কিনতে এলাম। এবারের পাঞ্জাবি ডিজাইন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ইউনিক। তবে বিক্রেতারা দামও বেশি হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নগরীর খুলশীর ফ্যাশন হাউস মেঘ রোদ্দুরে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তাজরিন হাসপিয়া রুশমি বলেন, এবারের ঈদ যেহেতু গ্রীষ্মকালে তাই আমি মসলিনের ওপর হাতের বিভিন্ন কারুকাজ করা একটি জামা কিনেছি। দেশীয় পোশাকের দাম এ বছর সাধ্যের মধ্যেই আছে।

অন্যদিকে আফমি প্লাজার অঞ্জন, সৃষ্টি, বাংলা মেলা, দেশী দশ, দেশাল, রঙ, সাদা কালো এবং শৈল্পিকের শো রুম দুপুর থকে ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর। এসব শো রুমের বিক্রেতারা জানান, ইতোমধ্যে জমতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। বরাবরের মতোই তরুণদের প্রথম পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাঞ্জাবি। তাই বিভিন্ন কালার ও ডিজাইনের প্রচুর পাঞ্জাবি এসেছে।

অপরদিকে নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটের বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন। জহুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন দৈনিক আজদাীকে বলেন, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কেটের কেনাকাটা জমে উঠছে। ব্যবাসায়ীরা সারা বছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। হকার্স মার্কেট মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের মার্কেট। এখানে কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতারাও এখানে শপিং করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এবারে ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে ক্রেতা আরো বাড়বে। আপনারা জানেন, গত দুই বছর আমরা করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। তাই এখন ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে আমাদের আনন্দ লাগছে।

তামাকুমণ্ডি বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। আমাদের সমিতির অধীনে প্রায় ১১০টি মার্কেট আছে। এসব মার্কেটে দোকান আছে ১০ হাজারের মতো। এখানে রেডিমেড কাপড়, থান কাপড়, জুতা ও প্রসাধনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতারা আমাদের মার্কেটে কম দামে ভালো পণ্যটি কেনার জন্য আসে।

স্যানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে আরো জমজমাট বেচাবিক্রি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনকে ফের বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি
পরবর্তী নিবন্ধশিল্প এলাকায় ঈদের আগের শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা