ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে ঈদ মানে পোশাকের সাথে মিলিয়ে চুড়ি, কানের দুল ও জুতা–স্যান্ডেল কেনা। পোশাক কেনা তরুণীরা ভিড় করছেন কসমেটিকস ও জুতা–স্যান্ডেলের দোকানগুলোতে। উচ্চবিত্তশ্রেণির নারীরা ছুটছেন অভিজাত বিপনী বিতানগুলোতে। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণিরাও। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশিরভাগ তরুণী এখন কসমেটিকস ও নানা ধরনের গহনা–অলঙ্কারের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া বিশেষ করে পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে লিপস্টিক, চুড়ি ও জুতা–স্যান্ডেল কিনছেন।
গতকাল সোমবার নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, টেরিবাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেঙ, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওস্যান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জুয়েলারি ও কসমেটিকসের শো–রুম ও দোকানে নারী ক্রেতাদের ভিড়। ইউনেস্কো সিটি সেন্টারে কথা হয় কলেজ ছাত্রী নুসরাত তাসনুভার সাথে। তিনি জানান, ঈদের প্রায় সব কেনাকাটা সময়। পোশাক কিনেছি এক সপ্তাহ আগে। এখন কেবল কিছু কসমেটিকস ও জুয়েলারি কেনার বাকি। কারণ মেয়েদের টুকিটাকি কেনাকাটার কিন্তু শেষ নেই। আমার নিজের জন্য এবং ছোট বোনের জন্য কানের দুল নিয়েছি। এখনো স্যান্ডেল কেনা বাকি আছে। স্যান্ডাল কেনা শেষ হলেই ঈদের শপিং পরিপূর্ণ হবে। চকবাজার বালি আর্কেডে আসা গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, সারা বছরই কিছু কিছু কসমেটিকস–জুয়েলারি কেনা হয়। কিন্তু ঈদের আগে কসমেটিকস কেনার আনন্দটাই আলাদা। মেয়ের জন্য কানের দুল, গলার মালা এবং আইলাইনার নিয়েছি। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দামও একটু বেশি। রেয়াজুদ্দিন বাজারে বান্ধবীদের নিয়ে স্যান্ডেল কিনতে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাজরিন হাসপিয়া। তিনি জানান, পোশাক, কসমেটিকসের শপিং শেষ। এখন কেবল স্যান্ডেল কেনা বাকি। তাই আমার দুই বান্ধবীকে কেনাকাটা করতে এসেছি। অপরদিকে নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম মার্কেট তামাকুমণ্ডি লেইনে ক্রেতাদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেনাকাটার ব্যস্ততায় বিক্রেতাদের দম ফেলার সময় নেই। আমির হোসেন নামের এক বিক্রেতা জানান, কসমেটিকসের বেচাবিক্রি বেড়েছে।
জানতে চাইলে রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছালামত আলী বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। বিশেষ করে কসমেটিকসের দোকানে নারী ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। পণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির অর্থসম্পাদক ও ঈদ বিক্রয় উৎসব কমিটি সদস্য সচিব মীর নাছির উদ্দিন শিকদার বলেন, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কেটে ক্রেতাদের চাপও বাড়ছে। ক্রেতা আকর্ষণে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
ইউনেস্কো সিটি সেন্টার শপ ওনার্স এসোসিয়েশেনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ মিয়া বলেন, ঈদের বাকি আছে আর এক সপ্তাহ। তাই পোশাক কেনাকাটা শেষে তরুণীরা কসমেটিকস ও জুয়েলারি কিনতে দোকানে ভিড় করছেন। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে।