পাহাড় আর প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সজ্জিত বান্দরবন থানচি। প্রকৃতির দেওয়া দৃশ্য এতো সুন্দর চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। বান্দরবান থেকে থানচি ৪/৫ ঘণ্টা লাগে। যেতে যেতে নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, বলিপাড়া, জীবন নগর পাহাড় সবই অপূর্ব সুন্দর। যেদিকে তাকাই শুধু সবুজের সমারোহ। মনে হবে যেন কোন দক্ষ শিল্পী পাহাড়ের গায়ে একে দিয়েছে সবুজের গাছপালা। পাহাড়ে একদিকে মেঘ আর অন্যদিকে রৌদ্র। নীলগিরি থেকে বলিপাড়া এই একটা পাহাড় নামতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগে। বলিপাড়া থেকে আপনি যখন উপরের দিকে তাকিয়ে দেখবেন, দেখতে পাবেন নীলগিরি সেই নীল পাহাড়ের চূড়াটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কী অপরূপ সৌন্দর্য্যৈ ভরা এই পাহাড়গুলো। বলিপাড়া থেকে থানচি এটি একটি উপজেলা। এখানে হোটেল, মার্কেট, সরকারি বেসরকারি অফিস সবই আছে। থানচি কয়েক কিলোমিটার দূরে সেই অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ‘তমাতুঙ্গী’।
সূর্যাস্ত দেখার রোমাঞ্চকর অনুভূতি তমাতুঙ্গী সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান। বান্দরবান থেকে থানচি যেতে প্রায় ৪ ঘণ্টা লাগে। থানচি থেকে বেশ খানিকটা দূরে পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে উঠা পর্যটক স্পট ‘তমাতুঙ্গী’। সূর্যাস্ত দেখার রোমাঞ্চকর অনুভূতি। এখানে সারা বছর ভীড় করে পর্যটকরা। থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত সড়কের চার কিলোমিটার পয়েন্টে মুগ্ধতা ছড়ানো এই পর্যটন স্পটটির অবস্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তমাতুঙ্গীর উচ্চতা প্রায় আড়াই হাজার ফুট। তমাতুঙ্গীর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে আরো তিনটি দর্শনীয় পর্যটক স্পটের দেখা মিলবে। তমাতুঙ্গী যেন একের ভিতরে চার। তমাতুঙ্গী চারপাশে আরো দর্শনীয় স্থানগুলো হলো দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ বা পাহাড়ের চূড়া তাজিংডং বিজয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং আর দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ বা ডিম পাহাড়ের চূড়াও। দুচোখে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজের সমারোহ। সারি সারি পাহাড়ের চূড়া। আঁকাবাঁকা পথ। দেখলে মনে হবে এটা কোন মেট্রোরেল সড়ক। আসলে না, এই পথগুলো প্রকৃতির দেওয়া। দূর থেকে দেখে মনে হবে পাহাড়ে হেলান দিয়ে আছে সাদা মেঘ। এই পাহাড় আর মেঘগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের। স্থানীয় দর্শনার্থীদের পদচারণায় সারাবছরই মুখরিত থাকে পর্যটন স্পটটি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানচি ভ্রমণে ঘোষণায় ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের আনাগোনা এখন খুব একটা নেই বললেই চলে। দর্শনীয় স্থানটি ঘুরে দেখলাম, সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা পর্যটন স্পটটি ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভ্রমণকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
তমাতুঙ্গীর সৌন্দর্যৈ মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় দর্শনার্থীরাও। তবে থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে বিধিনিষেধ রয়েছে। পর্যটন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে থানচি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কিছুটা লাভজনক হবে মনে করেন থানচির স্থানীয় লোকজনেরা। সত্যি তমাতুঙ্গী সৌন্দর্যে মুগ্ধ আমি।












