কবিগুরু বলেছেন –
‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।’
আমাদের সমাজে যে অন্যায় করে তার শাস্তি হয় আবার কখনো হয় না। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যারা অন্যায় সহ্য করে বা সমর্থন করে কিংবা প্রশ্রয় দেয় তারাও কিন্তু সমান অপরাধী। হয়তো আইনের কাছে তারা অপরাধী না হলেও বিবেকের কাছে সমান অপরাধী।
আমাদের সমাজে প্রতারক, ঠকবাজ কিংবা চাঁদাবাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যে কোন জায়গায় – অফিস আদালতে, ফ্ল্যাট বাসায়, ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, জমি ক্রয় বিক্রয়ে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরা শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত যাই হোক না কেন এদের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে গিয়ে যেকোন জায়গায় কিছু মানুষকে হাতে রাখে যাতে অন্যান্যদের তাদের লালসার শিকার করতে পারে। এরপর এসব চাঁদাবাজ, প্রতারক সংগঠনের মাথা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং খেয়াল খুশিমতো কিছু নিয়ম মেনে চলার জন্য বাকিদের বাধ্য করে। বিশেষ করে ফ্ল্যাট যারা ক্রয় করে তারা এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়। তারা ফ্ল্যাটের মালিক হয়েও ঐসব লোকদের জিম্মায় থাকতে হয়। ঐ প্রতারকের দল প্রথমে মিষ্টি কথায় ফ্ল্যাট বিক্রি করে ফাঁদে ফেলে পরে কর্তা হয়ে নিয়ম শেখায়। আমাদের চারপাশে এমন কিছু ব্যক্তি দেখা যায় যারা অন্যের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লাগে। অন্যের জায়গা, সম্পদ নিজের দখলে নিতে চেষ্টা করে। আমার আমার, আমি আমি করে একসময় নিজে ধ্বংসের পথে চলে যায়।
আমাদের সমাজে উঁচু তলায় বসবাসকারী মানুষের নীচ আচরণ ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষিত করে। বর্তমান সময়ে কিছু লোভী, স্বার্থান্বেষী মহল সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এসব লোকের থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এরা যে কোনও সময় মানুষকে যে কোনও বিপদে ফেলতে পারে। সবাই একতাবদ্ধ হয়ে এসব লোভী, রক্তচোষা ও স্বার্থপরদের কঠোর হস্তে দমন করা উচিত। আমাদের সমাজে অন্যায়কে দূর করতে হলে আইনের পাশাপাশি বিবেকসম্পন্ন সচেতন মানুষের উপস্থিতিও প্রয়োজন যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হবে। তাই কোন অপরাধী যাতে অপরাধ করার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সচেতনতার পাশাপাশি সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে এগিয়ে আসতে হবে।











