‘তবু যদি খোঁজ মেলে’

| মঙ্গলবার , ৭ জুন, ২০২২ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন লাগার পর শনিবার রাতে ফেসবুকে লাইভে ছিলেন কভার্ডভ্যান চালক মোহাম্মদ ইয়াসিন; এরপর থেকে তার আর খোঁজ নেই, মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিনি বেঁচে আছেন কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় তার পরিবার। তিন দিন ধরে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় কাটানো বাবা বদিউল আলম খোকা গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে সিআইডির বুথে এসেছিলেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিতে। খবর বিডিনিউজের।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে থাকা ১৭ জনের জনের পোড়া লাশ চোখের দেখায় শনাক্ত করার উপায় নেই। তাদের মধ্যে ইয়াসিন আছেন কি না, তা জানতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন বদিউল আলম খোকা।

তাদের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোসাইপুর গ্রামে। রোববার সকাল থেকে সীতাকুণ্ডের কন্টেনার ডিপো আর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং মর্গে ঘুরে ছেলের কোনো খোঁজ পাননি বদিউল আলম । দুদিন ধরে তিনি হাসপাতালেই আছেন। সোমবার নমুনা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ডিপোতে আগুন লাগর পর ইয়াসিনই বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানায়। ছেলে তখন বলেছিল, সে ভালো আছে। কথা শেষ করে ফেসবুক লাইভে এসে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দেখাচ্ছিলেন ইয়াসিন। এক পর্যায়ে ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটলে তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বদিউল আলম বলেন, রোববার সারাদিন আমরা সীতাকুণ্ডের ডিপো এলাকায়, চিটাগাং মেডিকেলে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। মেডিকেলে আসা অনেক লাশ পুড়ে গেছে। আমার ছেলে থাকলেও চেনার উপায় তো নেই। সে কারণে রক্ত দিয়েছি পুলিশের কথায়। দেখি ইয়াসিনের খোঁজ পাই কি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় সিএনজি টেক্সিচালক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধকুমুদীনি অয়েল মিলসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা