তবুও নিজেদের খেলায় উন্নতি দেখছেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল ব্যাটসম্যানরা। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হতাশ করেছেন বোলাররা। বাংলাদেশের পথচলাও তাই থমকে গেছে গ্রুপ পর্বেই। একই সঙ্গে তিন বিভাগে কোনো ম্যাচেই ভালো করতে না পারলেও উন্নতির রেখা চোখে পড়েছে সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন, আগের তিন-চার সিরিজের চেয়ে এশিয়া কাপে তারা অনেক ভালো খেলেছেন। এশিয়া কাপের আগে সবশেষ ১৫ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হলো আরও দুটি। দেশে থাকতেই সাকিব বলেছিলেন, হার মেনে নিতে আপত্তি নেই তার। তবে দলের খেলায় দেখতে চান উন্নতি। দেখতে চান লড়াইয়ের ছাপ। এই দুই ম্যাচে সেটা অন্তত দেখা গেছে বলেই মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তিনি বলেন আমরা জানি আমরা কী করছি। আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে। দেশে থাকতেও আমি বলেছিলাম, আমাদের একটা লক্ষ্য আছে। আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি। ধীরে ধীরে একটা জায়গায় যেতে চাই। আমরা যদি এই দুই ম্যাচ ধরি, আমার মনে হয়, আমরা যেমন খেলছিলাম আগের তিন-চার সিরিজ, সেখান থেকে অন্তত বড় একটা উন্নতি হয়েছে। এখান থেকে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারি বলে আমি মনে করি। উন্নতির প্রমাণ দেখানোর সুযোগ কিছু দিন পরেই পাবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে তারা। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে সেই আসরে ফাইনালে না উঠলেও সেখানে চারটি ম্যাচ পাবে দল। সাকিব জানালেন, বিশ্বকাপে খেলার দাবি জানাতে সেই সিরিজ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে ক্রিকেটারদের জন্য। এখানে যারা ছিল এর বাইরে খুব বেশি খেলোয়াড় যে আছে তা কিন্তু নয়। হয়তো তিন-চার জন খেলোয়াড় থাকতে পারত। এটা ভালো একটি অভিজ্ঞতা হলো যে, আমরা কিছু খেলোয়াড় দেখতে পারলাম।
সাকিব বলেন আমাদের ধারণা, এখানের বাইরে ৫ থেকে ৭ জন খেলোয়াড়ই আছে যাদের ভেতর থেকে আমরা বিশ্বকাপে দলটা নির্বাচন করতে পারি। সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডে চারটি ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ কন্ডিশন প্রায় একই থাকবে। ওখানে আমরা আরও ভালোভাবে যাচাই, বাছাই করে বিশ্বকাপে যেতে পারব। বাংলাদেশ কোথায় ম্যাচ হেরে যাচ্ছে, ভালো করেই বুঝতে পারছেন সাকিব। তাই সামনের পথে এগোতে ঠিক কোথায় উন্নতি চান সেটাও অনুধাবন করতে পেরেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাইতো বললেন স্কিলের দিক দিয়েও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। তবে চাপ এলেই আামরা ভেঙে পড়ি। কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা সব সময় যে হেরে যাচ্ছি, এই জায়গায় আমাদের উন্নতি করা খুব জরুরি। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ ম্যাচও যদি আমরা জিততাম জিতলে কিন্তু আমাদের রেকর্ড ভালো থাকত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে।
দুই ম্যাচেই হেরে এশিয়া কাপের আসর থেকে বিদায় নিলেও, এটিকে নিজের বোলারদের পরখ করে নেওয়ার বড় সুযোগ হিসেবেই দেখলেন টাইগার অধিনায়ক । নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ সবার পারফরম্যান্স দেখে কারা চাপের মুখে দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করতে পারেন সেটি বুঝে নেবেন সাকিব। যারা ব্যর্থ হবেন তাদের দলে জায়গা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শ্রীলংকার কাছে হারের পর সাকিব বলেন এই ধরনের পিচে পেসারদের ১২ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি বলছি না ১২ ওভার করতেই হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ পেসারের কাছ থেকে ১২ ওভার প্রত্যাশিত থাকবে। অন্তত ভালো ১০ ওভার প্রত্যাশা করবেন। অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত প্রত্যাশা করে পেসারদের কাছ থেকে। সেখান থেকে আমরা ১০-১২ ওভার প্রত্যাশা করছি। আর এটা পেস বোলারদের ডেলিভার করতেই হবে। যারা ডেলিভার করতে পারবে তারা থাকবে। যারা পারবে না আসলে তারা থাকবে না। খুবই সহজ হিসাব এখানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ সকালেই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল
পরবর্তী নিবন্ধআর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টা