তবুও এই সিরিজকে খুব ভাল সিরিজ বললেন শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৩ মে, ২০২৪ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজের চারটি জিতেছে। কিন্তু তেমন দাপুটে পারফরম্যান্স করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিরিজ জিতলেও বেশ কিছু জায়গায় রয়ে গেছে প্রশ্নের সুযোগ। তবে সেসব দিকে না গিয়ে বরং নিজেদের পরীক্ষানিরীক্ষায় সফল হওয়ায় সন্তুষ্টির কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গতকাল শেষ্য মাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেও গেছে বাংলাদেশ। তারপরও এর মধ্যেই অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজে নিয়েছেন শান্ত। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, নিজেদের পরীক্ষানিরীক্ষায় ভালো ফল মিলেছে। তিনি বলেন আমার মনে হয় যে, খুব ভালো একটা সিরিজ গিয়েছে। সিরিজ জিতলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তৃপ্তির জায়গা এটা বলব যে, আমরা যে পরীক্ষাগুলো করেছিলাম, যে জিনিসগুলো দেখার দরকার ছিল, যেমন আমরা ‘ক্লোজ’ ম্যাচ জিতেছি। টপঅর্ডাররা একটা ম্যাচে খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছে।

তিনি বলেন এই ম্যাচ যদি দেখেন তাহলে মিডলঅর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এরকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ পুরো সিরিজে আমার মনে হয় খুব ভালো বোলিং করেছে। এই রকম যদি চিন্তা করা যায় তাহলে অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে এবং আমরা যে জিনিসগুলো আশা করেছিলাম, কাছাকাছি যেতে পেরেছি। পরে পরীক্ষানিরীক্ষার কিছু বিষয় বিস্তারিতভাবেই তুলে ধরেন শান্ত। কোন জায়গায় তারা কাছাকাছি যেতে পেরেছেন সেটিও বলেন তিনি। স্পিনাররা খুব ভালো করেছে। বিশেষ করে রিশাদ খুবই ভালো বোলিং করেছে। শেখ মেহেদি ভালো বল করেছে। মাঝখানে ওকে বিশ্রাম দিয়ে তানভিরকে খেলানো হয়েছে। সেও ভালো করেছে। এই জিনিসগুলো ভালো ছিল। পাশাপাশি জাকের আলির এই ম্যাচের ইনিংসটা বা মাঝখানের একটা ইনিংস বেশ ভাল ছিল। ছোট ছোট বেশ কিছু জায়গা আছে যেখানে আমরা কাছাকাছি যেতে পেরেছি। তবে এখনও অবশ্যই আরও উন্নতির জায়গা আছে। ক্রিকেটাররা সবাই আত্মবিশ্বাসী। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচের জয় ৯ ও ৫ রানে। ওই দুইটিতে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ জিতে যেতে পারে জিম্বাবুয়েও। তবে শেষ পর্যন্ত বোলিং নৈপুণ্যে ফল নিজেদের পক্ষে রাখে স্বাগতিকরা। বিশ্বকাপের আগে জমে ওঠা ম্যাচে জয় নিয়ে বের হওয়ার অভ্যাস সামনের দিনগুলোতে কাজে লাগবে মনে করেন শান্ত। কয়েকটা ক্লোজ ম্যাচ আমরা জিতেছি। যেটা আমাদের দরকার ছিল। কারণ সামনের সিরিজ বা টুর্নামেন্টে এই ধরনের ম্যাচ আসবে। ওই সময় কীভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, বোলাররা কিভাবে পরিকল্পনা কাজে লাগাচ্ছে, ওই সময়ে আমরা কতটুকু শান্ত থাকছি, এই জিনিসগুলো আমরা অনুশীলন করছি। ক্লোজ ম্যাচ যেগুলো আমরা খেলেছি, বলা যেতে পারে ওদের হাতে ম্যাচটা ছিল একটা সময়। সে জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে আমরা ম্যাচ বের করে এনেছি এটা ইতিবাচক দিক। এই জিনিসটা আমাদের কাজে দিবে টুর্নামেন্টে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা দিবসে হৃদয়ের আবেগঘন খোলা চিঠি
পরবর্তী নিবন্ধএবার বন্দর ক্রীড়া সংস্থাকে হারাল নওজোয়ান