তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না

জুডিসিয়াল কনফারেন্সে মহানগর দায়রা জজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বলেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। অথচ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সাক্ষীর গুরুত্ব অপরিসীম। গতকাল শনিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বার্ষিক জুডিসিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আপোষযোগ্য মামলায় আপোষ নিষ্পত্তির উপর গুরুত্বারোপ করে মহানগর দায়রা জজ আরো বলেন, সকল অংশীজনকে দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষে একযোগে কাজ করতে হবে।

কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক ও সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুর রশিদ, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান মিয়া, ডিসি (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির, পিবিআই ও সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি। এছাড়া জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানা ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহ।

কনফারেন্সে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম জব্দ তালিকা প্রস্তুতকরণ, যথাযথ ব্যক্তিকে সাক্ষী মান্যকরণ, তদন্তে ভুলত্রুটি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত মতামত ব্যক্ত করেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান মিয়া ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পারিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তদন্তের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী তার বক্তব্যে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করার কৌশল ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুর রশিদ মামলা তদন্তকালে সাক্ষীদের জবানবন্দি সঠিকভাবে রেকর্ড করার উপর এবং সঠিকভাবে ডকেট ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

কনফারেন্সে উপস্থিত বিভিন্ন অংশীজন তদন্ত, বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং সাক্ষী উপস্থাপন, মালখানা ইত্যাদিতে বিদ্যমান সমস্যা ও কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বলেন, মেডিকেল সনদ, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ঐসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না।

কনফারেন্সের এক পর্যায়ে সর্বোচ্চ মামলা নিষ্পত্তি, রায় ও আদেশের গুণগত মান এবং বিচার কাজে সততা ইত্যাদির জন্য ছয়জন বিচারককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন কনফারেন্সের সভাপতি ও মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা। ক্রেস্ট প্রাপ্ত বিচারকরা হলেনচিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তার, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ও কাজী শরীফুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিপলস্‌ ইন্স্যুরেন্সের স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন দিলশাদ আহমেদ
পরবর্তী নিবন্ধসাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান