তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্রকে শোকজ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২০ at ৮:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবর শাহ এলাকায় ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারনামীয় একমাত্র আসামির ডিএনএ ম্যাচিং ছাড়াই মামলার তদন্ত শেষ করার পাশাপাশি আসামিকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত। এর আগে একই আদালত ওই আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৪’র বিচারক জামিউল হায়দার চৌধুরীর আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে শোকজের পাশাপাশি আসামি নির্মল চন্দ্র আইচের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জিয়া হাবিব আহসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজাদীকে বলেছেন, আদালত পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন। আগামী ধার্য তারিখে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য একটি পিটিশন দাখিল করার কথা জানান জিয়া হাবিব আহসান।
নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৪’র বেঞ্চ সহকারী আব্বাস হোসেন আজাদীকে বলেন, আদালত মামলাটির পরবর্তী ধার্য তারিখ ২৭ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে আনার পর ওইদিনই আদালত শুনানি করেছেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নগরীতে পাঁচ মাস আগে আকবর শাহ এলাকায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারনামীয় একমাত্র আসামির নাম বাদ দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত বেলাল হোসেন নামে এক আসামিকে ওই মামলায় অভিযুক্ত করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র শীল। একই সাথে এজাহারনামীয় আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়।
গত সোমবার মহানগর হাকিম মো. শফি উদ্দিনের আদালতে সেই তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন। পরদিন মঙ্গলবার একই আদালতে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করলে সেটাও খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ মে আকবর শাহ এলাকায় নির্মল চন্দ্র আইচ নামে এক বৃদ্ধ ৬ বছরের এক শিশুকে চকলেট, বিস্কুট ও চিপস দিয়ে ফুসলিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তখনই আসামিকে শনাক্ত করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটির বাদী ছিলেন ভুক্তভোগী শিশুর রিকশা চালক বাবা। ওই ঘটনা নিয়ে গত ২১ অক্টোবর দৈনিক আজাদীতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্লোবের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আগ্রহী নেপাল
পরবর্তী নিবন্ধবিআইটিআইডিতেও যক্ষ্মার মেশিনে করোনা পরীক্ষা