উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার আগুন লাগার কারণ শনাক্ত করতে সোমবার সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান এর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের মাথা গুজার ঠাঁই নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
কমিটিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ গঠিত কমিটি গঠিত হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের কাজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন গৃহহীন রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করবে এবং জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ শনাক্ত করতে একটি দল কাজ করছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
মিজানুর রহমান জানান, মোট পাঁচটি মেডিকেল টিম ওই স্থানে রোহিঙ্গাদের সেবা দিচ্ছে। যেখানে ৯০ জন কমিউনিটি হেলথ কর্মীও কাজ করছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এপিবিএনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতার কাজ বলে দাবি করেছে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, আগের তুলনায় ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। তাছাড়া আগুন লাগার সঠিক কারণ জানাও কঠিন। তিনি বলেণ, মূলত রোহিঙ্গা শিবিরগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। সেখানে ঝুপড়ি ঘর আছে। তাই আগুন লাগলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। বেশিরভাগ ক্যাম্পে প্রশস্ত রাস্তা না থাকায় ভেতরে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার পানির উৎসের সংকটও বেশি হওয়ার ফলে আগুন লাগলে ক্যাম্পগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়।