তথ্য অধিকার আইন (রাইট টু ইনফরমেশন) সম্পর্কে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলার) স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের জিইসিন্থ একটি রেস্টুরেন্টে এ কর্মশালা হয়।
তথ্য অধিকার আইনের ধারণা, ব্যবহার ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে এ কর্মশালায়। এতে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মকর্তা, পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার উদ্দেশ্য এবং তথ্য অধিকারের আইনি ভিত্তি, তথ্য অধিকার আইন–২০০৯ এবং আরটিআই আবেদন প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন বেলার প্রোগ্রাম এন্ড ফিল্ড সমন্বয়ক এ এম এম মামুন। তথ্য অধিকার আইনের উপর বেলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বেলা চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মনিরা পারভীন।
তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার: বাস্তবায়ন, স্তরের চ্যালেঞ্জগুলি হ্রাস করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ–প্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসান। এসময় দলীয় কার্যক্রম হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশগত বিষয়ে তথ্য চেয়ে একটি নমুনা আবেদন তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবদুচ ছোবহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তানজিনা হাসনাত, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোমানা আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক, চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমর্মকর্তা নূরজাহান ও বাপার সাধারণ সম্পাদক শ ম বখতিয়ার।