আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, “তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করছেন। তারা বলছেন আলেমদের সম্মান দিয়েই কথা বলতে কিন্তু যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন তাদের কে সম্মান দিয়ে কথা বলবে? দেশের সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য করলে দেখবেন-মানুষ শিক্ষা থাকলে কী করতে পারে এবং শিক্ষার অভাবে কী করে। শিক্ষা না থাকায় বেগম জিয়া রাষ্ট্রকে কোথায় নিয়ে গেছেন। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন ছিল তা একসময় আমাদের ফ্রিতে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের নিরাপত্তার অজুহাতে তা নেয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে তা কিনে নেয়।”
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলানিউজ
মা শিক্ষিত না হলে সন্তানদের কেমন অধঃপতন হয় তার উদাহরণ টেনে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলেন অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান নিজ যোগ্যতায় উদ্ভাসিত। কোনো রকমে স্কুলের গণ্ডি পার হয়ে সবাই চায় ভালো কলেজে ভর্তি হতে আর তারেক রহমান ভর্তি হতে গিয়েছিলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াতে এক কলেজে পড়ার জন্য। তার ঐ শিক্ষা দিয়ে ৫ বছরে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেশে যে অবস্থা করেছিল, দেশবাসীকে এখনও তার মাশুল দিতে হচ্ছে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে নীতি-নৈতিকতার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। সমাজে পচন ধরে গেছে। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা উচিত। তোমারাই আগামী দিনের কাণ্ডারী। ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হলেই সুখী হওয়া যায়, তা নয়। নৈতিক অধঃপতন থেকে বেরিয়ে আসা জরুরী।”
এসময় তিনি অভিভাবকদের সন্তানের প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “সন্তানদের নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দিন। ছেলেরা কিশোর গ্যাং ও ড্রাগের দিকে ঝুঁকছে। তাদের মনিটর করুন।”
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য তৌফিকুর রহমান, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুবনা হারুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী প্রমুখ।