ঢাবিতে সংঘর্ষ, আহত তিনশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, ঢাকা মেডিকেলে ভিড়

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দৈনিক জনকণ্ঠের একজন ফটো সাংবাদিকও রয়েছেন আহতদের মধ্যে। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রিকশা, অটোরিকশায় করে কাটাছেঁড়াসহ বিভিন্ন ধরনের আঘাত নিয়ে প্রায় তিনশজন আহতকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই সময় আহতরা কেউ চিৎকার করছিলেন, কান্নাকাটি করছিলেন। তাদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে কোটা সংস্কার আন্দোলকারী এবং ছাত্রলীগ গতকাল সোমবার বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং পরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ছাত্রলীগ। খবর বিডিনিউজের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চার শিক্ষার্থীর নাম জানা গেছে। তারা হলেন মাহমুদুল হাসান (২৩), ইয়াকুব (২১), রাকিব (২৪) ও মাসুদ (২৩)। তারা সবাই ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের বিভিন্ন হলে থাকেন। আহত মাহমুদুল জানান, বিজয় ৭১ হলের সামনে বিকাল ৩ টার দিকে ইট পাটকেল ও লাঠির আঘাতে আহত হন তারা।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এদিন উত্তেজনা চলছিল সকাল থেকেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন। ছাত্রলীগ একই জায়গায় বিকাল ৩টায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও কোটাবিরোধীরা ওই জায়গা দখল করে রাখায় সরকার সমর্থক সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জড়ো হন মধুর ক্যান্টিনে। এর মধ্যেই বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কাছে দুই পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি অংশ লাঠিসোঁটা নিয়ে মল চত্বরে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান নেন মধুর ক্যান্টিন, বিজয় একাত্তর ও সূর্যসেন হলের ভেতরে।

বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মধুর ক্যান্টিন ও বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ কর্মীর মল চত্বর থেকে আন্দোলকারীদের ধাওয়া দিয়ে ভিসি চত্বরে নিয়ে যায় এবং পিটুনি শুরু করে। হামলার মুখে কোটা আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেন।

সংঘর্ষের পর কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের তারা বেধড়ক পিটিয়েছে। এই হামলায় অন্তত দুইশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার বলেন, আমরা কখনো ভাবি নাই ছাত্রলীগ এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করবে। আমরা নারী শিক্ষার্থীরা অনেকে দৌড়ে পালাতে পারি নাই। ছাত্রলীগের কর্মীরা হেলমেট পরে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করেছে, লাঠিপেটা করেছে। নিজের ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীরা কতটা অসহায়, ছাত্রলীগ আজকে প্রমাণ করল।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের তারা উসকে দিয়েছে। আমরা খুব দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছি। আজকে তাদেরকে আমরা ৫ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আমরা বলব, আপনারা আন্দোলন থেকে সরে যান। আপনারা ২০ পার্সেন্ট সরে গেলে, দেখা যাবে বাকি ৮০ শতাংশ পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট। পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেটা আমরা জানি।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শয়ন বলেন, ওরা সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, তারা বিএনপির ইশরাকের (বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন) কর্মী। আপনারা গণমাধ্যম অন্ধ হয়ে গেছেন। এই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ১০ থেকে ২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশ শিবিরছাত্রদলের অ্যাক্টিভিস্ট। জামায়াতশিবির, ছাত্রদলকে আমরা যুগে যুগে পরাজিত করেছি। তারা কোনো কিছুই করতে পারে নাই। এবারও কিছু করতে পারবে না। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের তিন থেকে চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তার ভাষ্য।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা করতে হবে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনিান বলেন, কোটা আন্দোলন করার আগে তো তোদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিল যে কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা (চাকরি) পাবে?

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ‘মর্মাহত’ হয়ে রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষালয়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখান; যেখানে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকাররাজাকার; কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই রাজাকারকে ঘৃণা করে, আমাদেরকে রাজাকার বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ২ পারসেন্ট ছাড়া বাকি ৯৮ পারসেন্ট রাজাকার? এটা ছাত্রদের আহত করেছে।

ঢাকা মেডিকেলের সামনেও সংঘর্ষ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারধরের শিকার হয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন কোটাবিরোধীরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদুল্লাহ হলের পাশ থেকে কোটাবিরোধীদেরও ধাওয়া করেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করেন। এ সময় পাঁচটি হাত বোমা বিস্ফোরিত হয়। তবে কারা এই ককটেল নিক্ষেপ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলের সামনে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত ছা্‌ত্রলীগের সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে ছুটে যান। বিকাল সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

বিকাল সোয়া ৫টার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে লাঠিসোঁটা হাতে বেশ কয়েকজন এলে সেখানে হুড়াহুড়ি শুরু হয়। পরে বাঁশি বাজিয়ে আনসার সদস্যরা ছুটে এলে তারা সরে যায়। এরপর মেডিকেলের প্রধান ফটক ও জরুরি বিভাগের সামনে বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এরপর হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতনরা জরুরি বিভাগের সামনে ছুটে আসেন। সেখানে আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শতাধিক আহত মেডিকেলে এসেছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের এখন ডিউটি নেই তাদেরও কল করা হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বিভাগের সামনে অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।

এ সময় আহতদের সঙ্গে আসা কয়েকজন পরিচালককে বলেন, আপনারা কীসের নিরাপত্তা দিচ্ছেন? তারা তো মেডিকেলে এসে আমাদের আহতদের ওপর আবারও হামলা চালাচ্ছে। পরিচালক তখন বলেন, আমাদের জানা মতে, এখানে আহতদের সঙ্গে যারা আছেন, সবাই আপনাদেরই লোক। তারপরও আপনারা আইডেন্টিফাই করে দিলে আমাদের সুবিধা হয়। এরপর তিনি মূল ফটকে অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করেন।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলের সামনে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে ছুটে যান। বিকাল সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

তাণ্ডবের কয়েক ঘণ্টা পর ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান : কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। গতকাল দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে বিকালে যে সংঘর্ষের সূচনা, সেটি ঢাকা মেডিকেলেরও সামনেও ছড়ায়। সংঘর্ষ হয় শহীদুল্লাহ হলের সামনেও। এরপরও পুলিশের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

কয়েক ঘণ্টা পর ৬টার দিকে শহীদুল্লাহ হলের পাশ দিয়ে সাঁজোয়া যানসহ দাঙ্গা দমনের সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন কয়েকশ পুলিশ সদস্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকা পুলিশের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার। তাকে শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সে সময় শহীদুল্লাহ হলের কিছু বিক্ষুব্ধ ছাত্র বাইরে এসে চিৎকার করে অভিযোগ করতে থাকেন, হলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে ছিল না।

পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের যা বলবে আমরা সেভাবে কাজ করব। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

রাত পৌনে ৮টার দিকে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ছাত্রদের ভেতরে যেতে এবং বহিরাগতদের বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।

সরকারবিরোধী লড়াইয়ের আহ্বান বাম জোটের : সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সময়ক্ষেপণ না করে অবিলম্বে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা। গতকাল বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী এ বিবৃতি দেন। ছাত্রদের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত মন্তব্য করে বিবৃতিদাতারা বলেন, দমন পীড়ন করে এই আন্দোলন দমন করা করা যাবে না।.

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভ্যন্তরীণ নৌ রুটে পণ্য পরিবহনে বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ
পরবর্তী নিবন্ধলাঠিপেটায় সমাধানের সুযোগ নেই : কোটা আন্দোলন নিয়ে খসরু