ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দেওয়ালগুলোতে বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি ঘুরে ঘুরে দেখেছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দেয়ালে আঁকা এসব গ্রাফিতি ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জুলাই–আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এবং আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। খবর বাংলানিউজের।
গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তখন তা দমনে প্রথমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে মাঠে নামানো হয়। এরপর শেখ হাসিনার সরকার আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে। এ কারণে ওই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ঘটে। এই অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
সেই আন্দোলনে সরকারের হিসাব মতে, অনেক শিশু–কিশোরসহ ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ–কমিটির তথ্য মতে, আন্দোলনে শহীদের সংখ্যা এক হাজার ৪২৩ জনের বেশি। এছাড়া সরকারের হিসাবে, আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ২০০ জন।