রাজধানী ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে সামুরাই চাপাতিসহ প্রায় ১১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সামুরাই চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, বাংলা কুড়াল, চাকু ও মিট হ্যামার।
অভিযানে বিভিন্ন দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে ৯ জনকে আটকের তথ্য দিয়ে বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। গতকাল শনিবার রাতে পরিচালিত অভিযানে এসব উদ্ধারের পর সেনাবাহিনী বলছে, এসব অস্ত্রের কোনো গৃহস্থালি ব্যবহার নেই। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার হতে দেখা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
শেরে বাংলা নগর আর্মি ক্যাম্পের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের উৎপাত বেড়েছে। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে এ ধরনের ধারালো সামুরাই চাপাতি উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের বরাতে কোনো একটি স্থান থেকে এ ধরনের সামুরাই অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া ও বিক্রি করা হচ্ছে জানতে পেরে এবং গ্রেপ্তার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার পর এ অভিযান চালানো হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এতে বলা হয়, গত দুই দিনে গোয়েন্দারা নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন দোকানে দেশি ধারালো অস্ত্র দেখতে পান। যেসবের কোনো গৃহস্থালি ব্যবহার নেই; গত কয়েক মাস ধরে এই অস্ত্র দিয়ে একাধিক হত্যা, আহত, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযানে ১১০০টির বেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরে এগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সেনাবাহিনী বলছে, কেউ এই ধরনের সামুরাই চাপাতি বা ধারালো অস্ত্র বিক্রি করবেন না। এগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ব্যবহার করছে এবং এতে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ ধারালো অস্ত্রের অবৈধ ব্যবসা করলে কাছের সেনা ক্যাম্পে খবর দিতে জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে।