ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোথাও নান্দনিক ফুলের বাগান, আবার কোথাও ঝুপড়ি। এমন দৃশ্য দেখে অনেকেরই মনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়, কর্তৃপক্ষ কতোটা আন্তরিক এই মহাসড়ক সংরক্ষণে। অথচ ইতিমধ্যে সরকারের অর্থায়নে পুরো মহাসড়কে চম্পা, করমচা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কনচাপা, রক্তকরবী, চাঁপা, কদম, হিজল, জারুলসহ প্রায় শত রকম ফুলের সমাহার ঘটানো হয়েছে। আবার এই পুরো মিডইয়ান রক্ষণাবেক্ষণেও বারবার বাজেট অনুমোদন হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতোটা হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ তা এখন প্রশ্নের মুখেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক স্থানেই এখন শরতের বৈচিত্র্যময় ফুলের সমাহার। কিন্তু কোথাও কোথাও যখন অযত্ন অবহেলার চিত্রে ঝুপড়িও দেখা যায়, তখন আবার হতাশ হয় বিমুগ্ধ সৌন্দর্য্য প্রিয় যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।
মিঠাছরা বাজারের দুপাশের কয়েক কিলোমিটারের কোথাও কোথাও মিডইয়ানের ফুল গাছের সারিগুলো জংলায় ছেয়ে গেছে। এগুলো শীঘ্রই পরিষ্কার করা না হলে গাছগুলো হুমকির মুখে পড়তে পারে। অথচ সরকার এই মহাসড়ককে নান্দনিক করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে।
এ বিষয়ে এই ফোর লেনের অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দৌল্লাহ বলেন, ইতিপূর্বে কয়েকবার মিডইয়ানের জংলা পরিষ্কার করা হয়েছে। বর্ষায় আবার জন্মেছে। যেখানে যেখানে লতাপাতা হয়েছে সেগুলো সংস্কারে আবার শীঘ্রই উদ্যোগ নেয়া হবে।
হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, এসব ব্যাপারে আমরা শীঘ্রই উদ্যোগ নিবো। সৌন্দর্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে।