ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ ঘণ্টার যানজট

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ জুন, ২০২৩ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে যানজট দেখা দেয়। উপজেলার কুমিরা বাজারের যানজট চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। ৭ ঘণ্টা পর গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ এ যানজটে মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এক সপ্তাহ ধরে দুপুরের পর থেকে যানজট শুরু হয়। যানজট চলতে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত। উপজেলার ভাটিয়ারী বাজারের টিকিট কাউন্টারের সামনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে। যার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আগে সেখানে বাসগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ থাকত। এখন সেখানে ট্রাফিক পুলিশ নেই।

গতকাল রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের কুমিরা বাজার থেকে সিটি গেট পর্যন্ত যানজটে থাকা গাড়িগুলো কখনো ধীরে চলছে। আবার কখনো দাঁড়িয়ে পড়ছে। ভাটিয়ারী বাজার এলাকায় অনেক যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। কিন্তু সেখানে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। এছাড়া ফৌজদারহাট ট্রাফিক বক্সের সামনে নগরের বায়েজিদ থেকে আসা গাড়িগুলো উল্টো পথে এসে মহাসড়কে ঢাকামুখী লেনে উঠতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি করেছে। এ সময় স্থানীয় যাত্রীদের অনেককে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাঁশবাড়িয়াা ইউনিয়নের চম্পা রুলিং মিল এলাকার বাসিন্দা রাখাল দাস। তিনি বলেন, কুমিরা এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েছি। দুই কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ি। গাড়ি একেবারেই চলছিল না দেখে হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছি।

বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইসচার্জ বেলায়েত হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার ভাটিয়ারী, কুমিরা এবং সিটি গেইট এলাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি মহাসড়কের ভাটিয়ারীতে লালপোল সেতু এলাকায় স্পিড ব্রেকার (গতিরোধক) দেওয়ার কারণে সব কটি যানবাহনকে ওই এলাকায় ধীরে চলতে হয়। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ফৌজদারহাট বায়েজিদ ও ফৌজদারহাট বন্দরসংযোগ সড়কের মাথায় ফৌজদারহাট ট্রাফিক বঙের সামনে গাড়ি লেন পরিবর্তনের সময় জট লেগে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালো ঘটনা ও সাফল্যের সংবাদ এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিবৃত্তিক অন্যায় : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬