আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার থানার ওসি এস এম লোকমান হোসাইন। বেলা সোয়া ১টায় ওসি লোকমান বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের রাজনৈতিক বিরোধের কারণে নেতা–কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিলে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। খবর পেয়ে জেলা ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ে কাজ শুরু করে। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে থাকে। পরে বেলা ১টার দিকে নেতা–কর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যান চলাচল স্বাভাবিক, তবে গাড়ির জটলা বাধায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মুখোমুখি অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা–কর্মীরা। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ও রামদা–ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। পরে নেতা–কর্মীরা চৌদ্দগ্রাম বাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটে মহাসড়কের উপর অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় সেখানে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রাম বিসিক গেট এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত–শিবিরের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। এক সপ্তাহ আগে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা এই পক্ষের নেতৃত্ব আছেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ–কমিটির সদস্য এম. তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী। এই পক্ষের নেতা–কর্মীরা সাবেক রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের বিরোধী পক্ষ বলে জানান দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে মুজিবুল হকের অনুসারীরা। এর জের ধরেই মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।