বিএনপির আহ্বানে ডাকা গতকালের হরতালে বিকেল ৪টা নাগাদ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলা এলাকায় মহাসড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। কিছু সংখ্যক দূরপাল্লার ট্রাক, ভ্যান ও সিএনজি টেক্সি দেখা গেছে। দুপুর ২টা নাগাদ দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করেনি। বিকাল থেকে যান চলাচল বেড়েছে।
দিনভর বিএনপি বা জামায়াতের কোনো প্রকার মিছিল বা পিকেটিং দেখা যায়নি। তবে ভোরে ছাত্রদলের কিছু কর্মী পিকেটিং করলেও সকাল নাগাদ আর সড়কে থাকেনি কেউ। বরং মীরসরাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল দিনভর।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী মীরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা কর্তৃক আটক হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে। তবুও সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে তারা মাঠে থাকবেন বলে জানান।
এদিকে মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, এই হরতাল জনবিচ্ছিন্ন। জনগণ এখন উন্নয়ন ও শান্তির সাথে আছে। ওরা (বিএনপি) চায় আগুন সন্ত্রাস। আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ মীরসরাইয়ে নৈরাজ্য করতে দিবে না।