ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ে চার লেনের আইল্যান্ডজুড়ে লাল, সাদা, হলুদ, বেগুনিসহ বাহারি ফুলের শোভা। কংক্রিটের সড়কের বুকে সযত্নে সাজানো এক টুকরো ফুলের বাগান। নানা রঙের ফুলের বর্ণিল ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছে মহাসড়কের মীরসরাই অংশ। এর সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী–চালকসহ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের মীরসরাইয়ের বিএসআরএম থেকে শুরু করে সোনাপাহাড়, ঠাকুরদিঘী, মিঠাছরা, বড়তাকিয়া এলাকার সড়কজুড়ে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু, জারুল, টগর, হৈমন্তি, কাঞ্চন আর কত যে নাম না জানা ফুল! পাঁচ–ছয় ফুট উচ্চতার গাছগুলোতে ঝুলে থাকা রঙিন ফুলের হাসি পথিকদের চোখে–মনে এনে দেয় অন্যরকম প্রশান্তি। লাল, বেগুনি, হলুদ, সাদা রঙের এক অপার উৎসব যেন প্রতিদিন চলছেই। সেই সৌন্দর্য মুহূর্তে থমকে দেয় চলমান যাত্রাকেও।
মীরসরাই লতিফীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক জানান, প্রতিদিনের পথচলার ক্লান্তি মুছে এ যেন এক চমৎকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। যাত্রী কিংবা চালক কেউই আর নিজেকে আটকাতে পারে না এই সৌন্দর্য্যের কাছে। কেউ থেমে ছবি তোলে, কেউবা শুধু এক পলক তাকিয়ে থাকে। চাকুরিজীবী সজল চন্দ্র নাথ ও প্রতাপ বনিক বলেন, কাজে যাওয়ার পথে এই ফুলের সৌন্দর্য দেখলেই মনটা খুশিতে ভরে যায়। কাজের চাপ ভুলে কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকি।
প্রফেসর আতিকুল ইসলাম লতিফী বলেন, ফুলগাছগুলো দেখতে অপূর্ব। কিন্তু আইল্যান্ডের কিছু গাছ কেটে সেখানে চাষাবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে কমেছে ফুল গাছের সংখ্যা। এছাড়াও কোন কোন জায়গায় কদম–কড়াই গাছও লাগানো হয়েছে। সেগুলো বড় হলে ঝুঁকি হতে পারে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী জানান, সড়কের সৌন্দর্য বাড়াতে নানারকম ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। সড়কের পরিবেশ ও যাত্রীদের মনোরম অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য এগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়।