ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের গ্রাহকদের ‘সেট টপ বক্স’ স্থাপনের বাধ্যবাধকতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট। ঢাকার খিলগাঁওয়ের এক বাসিন্দার করা রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। খবর বাংলানিউজের।
গত ২৮ এপ্রিল তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করেন ক্যাবল নেটওয়ার্কের গ্রাহক রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও গোড়ানের বাসিন্দা মো. আবুল কাউসার কল্পন।
আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের নীতিমালা তৈরি করতে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ইমপুট চাওয়া হয়েছে। তার মানে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা নেই। প্রযুক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার প্রস্তুত না। যেখানে নীতিমালা নেই, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি যেখানে নেই সেখানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।
তিনি জানান, প্রথমত ৩১ মে’র মধ্যে সেট টপ বক্স স্থাপন করার কথা বললেও এ দুই মহানগরীর বেশিরভাগ গ্রাহকই তা করেনি। তাছাড়া হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে বুধবার থেকেই হয়তো সমপ্রচারে বাধা দিত। স্থগিতাদেশের ফলে এখন আর এটা হবে না।
রুলে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা না করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরে গত ২৮ এপ্রিল দেয়া সরকারের সিদ্ধান্ত কেন অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ, অসাংবিধানিক, বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং আইনি অবকাঠামো বা নীতিমালা না করে এভাবে বেআইনি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট।
তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।