ঢাকায় এলএসডি কারবারে ১৫টি দল : পুলিশ

| সোমবার , ৩১ মে, ২০২১ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

এলএসডি সেবন ও ব্যবসায় জড়িত ১৫ দল রাজধানীতে সক্রিয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত থেকে চালানো অভিযানে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছে এই তথ্য মিলেছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে। লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড মাদক মহলে এলএসডি নামে পরিচিত। এটা জিহ্বার নিচে নিয়ে কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে সেবন করা হয়। বাংলাদেশে মাদক হিসেবে নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা এলএসডি গ্রহণে মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রম তৈরি করে। আশেপাশের বাস্তবতা অনুভব হয় ভিন্নভাবে। সমপ্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনার তদন্তে নেমে দেশে এলএসডি কারবারের সন্ধান পায় পুলিশ। তখন তিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগেই শনিবার রাতে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।
এই অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)। তারা প্রত্যেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এই অভিযান শেষে রোববার পল্টন থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, ‘রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত।’ এই চক্রে জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার পাঁচজনের কাছে ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম এলএসডি, আরেক মাদক আইসের সঙ্গে গাঁজা পাওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
আহাদ বলেন, ‘গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তারা অনলাইনে তাদের এই ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।’
এই তরুণরা কীভাবে জড়িয়ে পড়ল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে তারা এলএসডি সেবন শুরু করে। তারা মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি সংগ্রহ করে থাকে। কোন দেশ থেকে এলএসডি আনতেন তারা- এ প্রশ্নের জবাবে উপ কমিশনার আহাদ বলেন, তারা মূলত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসত। কুরিয়ার ও ল্যাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এলএসডির একটি চালান জব্দ করার খবর ২০১৯ সালে জানিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
২০১৯ সালের ১৫ জুলাই রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের একটি বাড়ি থেকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এলএসডির ২৫টি স্ট্রিপ (ব্লট) এবং ৫ মিলিলিটার তরল এলএসডি উদ্ধার করেন। সেই মামলার বাদী ফজলুল হক বলেন, অনলাইনে মাদক বেচাকেনার তথ্য পেয়ে ক্রেতা সেজে তারা ওই অভিযানটি চালিয়েছিলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেদি হাসান বলেন, ২০১৯ সালের ঘটনাটির তদন্ত করতে গিয়ে গুলশান-বনানীতে আরও কয়েকটি চক্রের এলএসডি বিক্রির তথ্য তারা জানতে পেরেছিলেন। তবে চক্রের সদস্যরা তখন গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ