উত্তর চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি সড়ক। দীর্ঘ ২৭ কিলোমিটার এই সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। এটি শেষ হলে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমবে ১৫০ কিলোমিটার। ফলে ৮ লক্ষ ফটিকছড়িবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, রামগড় স্থলবন্দর থেকে মীরসরাই বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে যোগাযোগের বিকল্প সড়ক হচ্ছে হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম সড়ক। আবার ফটিকছড়ি থেকে ঢাকা যোগাযোগের চট্টগ্রাম শহর, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই বারইয়ারহাট হয়ে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় ফটিকছড়িবাসীকে। এই দূরত্ব কমে যাবে হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি ২৭ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে।
২০১৮ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের অ্যান্ড ব্রাদার্স সড়কটি সম্প্রসারণের কার্যাদেশ পায়। বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্তের এই সড়কটি উন্নীত করা হচ্ছে ২৪ ফুটে। যার দৈর্ঘ্য হবে ২৬.৬৪ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে ১০.২৫ মিটার প্রস্থ ১১টি ব্রিজ এবং ৩২টি ছোট-বড় কালভার্ট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি বড় ব্রিজের মধ্যে ৩টির কাজ প্রায় শেষ। ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো সড়ক নির্মিত হয়ে গেলে প্রায় ৮ লক্ষ ফটিকছড়িবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে জানান নারায়ণহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন রশিদ।
পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোয়ার স্বপন জানান, সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে ফটিকছড়িসহ উত্তর চট্টলাবাসীকে আর চট্টগ্রাম শহর হয়ে ঢাকা বা অন্যান্য জেলায় যেতে হবে না। ফটিকছড়ির এ সড়ক দিয়ে হেঁয়াকো হয়ে করেরহাট থেকে বারইয়ারহাট কিংবা ছাগলনাইয়া-ফেনী দিয়ে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে। এতে গড়ে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব এবং তৎপরিমাণ গাড়িভাড়া কমে যাবে।
হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, ফটিকছড়ি হতে আর ইউ টার্ন হয়ে ঢাকায় যেতে হবে না। ফটিকছড়িতে সড়কটির কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে শিল্প কলকাখানা গড়ে উঠবে, কৃষক তার উৎপাদিত কৃষি পণ্য দ্রুত শহরে পৌঁছে অফিস আদালতের কাজ শেষ করতে পারবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের অ্যান্ড ব্রাদার্সের দায়িত্বশীল প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাসেল জানান, করোনা মহামারি এবং জমি অধিগ্রহণের কারণে সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-ডিভিশনাল অফিসার মো. সরোয়ার কামাল বলেন, সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে ফটিকছড়ি থেকে ঢাকা যোগাযোগের ১৫০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে এবং উত্তর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কে রূপান্তর হবে সড়কটি।