ঢাকার কয়েক থানায় হামলা, আগুন

পুলিশ সদরদপ্তরে হামলা

| মঙ্গলবার , ৬ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজধানী ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েছে কয়েকশ মানুষ। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন কক্ষ। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার বঙ্গবাজারের কাছে ফিনিক্স রোডে অবস্থিত পুলিশের সদর দপ্তরে অনেক মানুষ ঢুকে পড়তে শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অনেকটা বিনা বাধায় কয়েকশ মানুষ সদর দপ্তরের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে পড়ে। পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আতিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু লোকজন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঢুকে পড়েছে। তারা হামলা চালিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

এদিন ঢাকার বেশ কয়েকটি থানাতেও হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর বেশ কয়েকটি থানায় আগুনও লাগানো হয়। এসব ঘটনায় হতাহতের খবরও এসেছে। উত্তরা পূর্ব থানায় হামলা চলাকালীন সময়ে ১০ জনের মত হতাহতের ঘটনার খবরও এসেছে। এসব থানা আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ সদস্যরা আগেই সরে যান। রাজধানীর ৫০টি থানার বেশির ভাগই ফাঁকা হয়ে পড়ার তথ্য দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুপুরের পর থেকে হামলার এসব ঘটনা ঘটতে থাকে। থানাগুলো অনেক মানুষের আক্রমণের শিকার হয়। একে একে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে বেশ কয়েকটি থেকে হামলার খবর আসতে থাকে। থানাগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, উত্তরা পূর্ব, বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও।

শীর্ষস্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা আগেই সরে যান। তবে উত্তরা পূর্ব থানায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এ থানার নিচে আগুন দেওয়া হলে ছাদ থেকে সাদা পোশাকের দুজন পুলিশ গুলি করে ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। নিচ থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয় থানা লক্ষ্য করে। কাপড়ে আগুন লাগিয়ে ছুড়তেও দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিকাল ৪টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এ থানায় এর আগেই হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে দেওয়া হয় আগুন। মোহাম্মদপুর থানায় হামলা হয় বিকাল ৫টার পর। এরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার পরও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। খিলগাঁও থানায় সন্ধ্যার পরও আগুন জ্বলতে দেখেছেন প্রতক্ষদর্শীরা। এর আগে কদমতলী থানা আগের রাতেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পুলিশ।

লালবাগ বিভাগের এক এসআই বলেন, হামলা হওয়ার আশঙ্কায় তাদের অস্ত্র ও জরুরি দলিল নিরাপদ হেফাজতে রেখে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের একাধিক থানার ওসি ও পরিদর্শকরা বলেন, রাজধানীর ৫০টি থানার বেশির ভাগই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এসব থানায় হামলার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ বিষয়ে কেন্দ্র যা করবে, রাজ্য তাই শুনবে : মমতা